কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যে দল ভাঙিয়ে বিরোধীদের দুর্বল করার কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্র বিরোধীদের ভাঙানোর জন্য তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের ওপরে শীর্ষ নেতৃত্ব চাপ সৃষ্টি করছে বলে খবর। সেইমতো রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিদিন কমবেশি যোগদানের প্রক্রিয়া। এই কৌশলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের মাস্টার স্ট্রোক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একুশে ভোটের আগে দল ভাঙিয়ে বিরোধীদের দুর্বল করাই কৌশল তৃণমূলের - তৃণমূলের কৌশল
রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্র বিরোধীদের ভাঙানোর বিষয়ে সর্বস্তরের নেতৃত্বের ওপরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাপ সৃষ্টি করছে বলে খবর। কোন নেতা কতজনকে যোগদান করাতে পারছেন তার উপর নির্ভর করবে দলে তাঁর ভাবমূর্তি৷
তপসিয়ার তৃণমূল ভবন থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে যোগদান পর্ব। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ লাখ যুবক-যুবতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। দলের সদর দপ্তর তৃণমূল ভবনে BJP নেতা কৃশানু মিত্র সহ বিরোধীদের অনেকেই দফায় দফায় যোগদান করেছেন। এভাবে প্রতিটি জেলাতেও যোগদান চলছে কমবেশি। তৃণমূল সূত্রে খবর, যোগদান প্রক্রিয়া অব্যাহত। জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েত সহ সর্বস্তরে দল ভাঙিয়ে যোগদান করানোর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে রয়েছে বাড়তি চাপ। কার্যত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দল ভাঙিয়ে তাঁদের দুর্বল প্রতিপন্ন করা তৃণমূলের মূল লক্ষ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সরাসরি দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তিনি প্রবীণ এক বাম নেতাকেও তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আসল কথা, এতুশের নির্বাচনের আগে বিরোধী দল ভাঙিয়ে ফের ক্ষমতা করায়ত্ত করাই শাসক দলের লক্ষ্য৷ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন নেতা কতজনকে যোগদান করাতে পারছেন তার উপর নির্ভর করবে দলে তাঁর ভাবমূর্তি৷ সেই মতো ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে বলে খবর।