কলকাতা, 17 জুন: পূর্ণ হয়েছে এক বছর । NRS কাণ্ডে আক্রান্ত পরিবহ মুখোপাধ্যায় এখন সুস্থ । ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৪ জুনিয়র ডাক্তারকে CRPC-র 160 ধারায় বারবার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পাননি তদন্তকারীরা । ওই চিকিৎসকদের সাক্ষ্য এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ফলে তদন্ত বিশবাঁও জলে । সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পেশ করা যায়নি চার্জশিট । স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না কেন? কেন পরিষেবা বন্ধ করে চিকিৎসকদের একাংশ আন্দোলন করেছিলেন সে সময়?
সাক্ষীর অভাব, NRS-এ চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় জমা পড়েনি চার্জশিট - NRS নিগ্রহকাণ্ড
NRS কাণ্ডের পর তদন্তের দাবি তোলা জুনিয়র চিকিৎসকরাই সাক্ষ্য দেননি ৷ তারপর পেরিয়ে গেছে একবছর ৷ NRS-এ চিকিৎসক নিগ্রহে দেওয়া যায়নি চার্জশিট ৷
গত বছর 11 জুন NRS হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসার জেরে আক্রান্ত হন পরিবহ সহ দু'জন জুনিয়র চিকিৎসক । গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই পরিবহকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে । সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, "প্রচন্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপর করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে । ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ । ঘটনার জেরে আদিল হারুন, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের । নিরাপত্তার দাবিতে চলতেই থাকে আন্দোলন । পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওঠে আন্দোলন । নবান্নের সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী ।
তারপরই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয় । কলকাতার সবকটি বড় হাসপাতালে সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয় । মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী । DC কমব্যাটকে দেওয়া হয় হাসপাতালগুলি সুরক্ষার নোডাল অফিসারের দায়িত্ব । তখন থেকেই পাঁচটি বড় হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রাখা হয়েছে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ । ঘোষণা করা হয়েছে একটি টোল ফ্রি নম্বরও। যে নম্বরে সরাসরি লালবাজারে জানানো যাচ্ছে হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অভিযোগ । টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৮০০৩৪৫৮২৪৬ ।