কলকাতা, 13 মে : কোয়ারানটিন কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে শহরে । কলকাতা পৌরনিগম ইতিমধ্যেই দু'টি কোয়ারানটিন কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে । একটি কোয়ারানটিন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে রাজারহাটের ফরেনসিক বিল্ডিংয়ে । অন্য একটি কোয়ারানটিন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে হাওড়ার বালটিকুরিতে । 40 লাখ টাকা ব্যয় করে এই কেন্দ্র দু'টি তৈরি করেছে কলকাতা পৌরনিগম । প্রতিটি বিল্ডিংয়ে 300 টি করে শয্যা রয়েছে । প্রায় 600 টি শয্যা রয়েছে এই কোয়ারানটিন কেন্দ্র দু'টিতে । এর পাশাপাশি আরও দু'টি কোয়ারানটিন কেন্দ্র তৈরি করা হবে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আগামীকাল তিনি রাজারহাটে কোয়ারানটিন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে যাবেন । বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, "কন্টেইনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । শহরের বস্তিগুলিতে কেউ আক্রান্ত হলে সেই বস্তির বা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে । অনেক সময় বস্তিগুলিতে একটাই শৌচাগার অনেকে মিলে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ।"
শহরে বাড়ছে কোয়ারানটিন কেন্দ্রের সংখ্যা - Quarantine centers in Kolkta
40 লাখ টাকা ব্যয় করে এই কোয়ারানটিন কেন্দ্র দু'টি তৈরি করেছে কলকাতা পৌরনিগম । প্রায় 600 টি শয্যা রয়েছে এই কোয়ারানটিন কেন্দ্র দু'টিতে ।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন লকডাউন যেমন চলছে তেমনই চলবে । তবে কোনও বস্তিতে যে রাস্তায় বা যে লেনে কোরোনা সংক্রমিতের হদিস মিলবে, সেই বস্তি বা সেই লেন সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হবে । ওই বস্তির বা ওই এলাকার মানুষ ভিতরে বা বাইরে যাতায়াত করতে পারবেন না । সেই ক্ষেত্রে শুধু পুলিশ গিয়ে তাঁদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসবে ।
পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, "বিগত 10 দিন ধরে সিটি বাজারে অস্বাভাবিক হারে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে । ফলে, ওই এলাকায় সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব না মেনে অতিরিক্ত ভিড় হলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ বাজারটি বন্ধ করে দেবে ।"