পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

NSQF Protest : চাকরি হারিয়ে বিক্ষোভে সামিল কয়েকশো শিক্ষক, ল্যাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট

কাজ হারিয়েছেন ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক এর অন্তর্গত 320 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট । গত 24 দিন ধরে জেলায় জেলায় চলছে তাদের অবস্থান সমাবেশ (NSQF teachers protest) ।

NSQF teachers protest
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে ৷

By

Published : Nov 25, 2021, 11:05 PM IST

কলকাতা, 25 নভেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে ৷ কাজ হারিয়েছেন ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (National Skills Qualifications Framework) এর অন্তর্গত 320 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট । এই ইস্যুতে গত 24 দিন ধরে জেলায় জেলায় চলছে অবস্থান সমাবেশ ।

2013 সালে তৃণমূল সরকার 726টি সরকার ও সরকার-পোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে থাকা বৃত্তিমূলক বিষয়গুলি ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে ৷ শিক্ষা দফতর এটি চালু করলেও 2014 সালে এর পরিচালনভার দেওয়া হয় কারিগরি দফতরকে। এরপর প্রায় 40টি বেসরকারি সংস্থা বা এজেন্সির দ্বারা এই বিভাগের কাজ চলত ।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (Secondary Teachers & Employees' Association) এর সহ-সম্পাদক বাসুদেব দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘ 9 বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি । অথচ এবার ঠিক স্কুল খোলার আগেই 320 জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল ।’’ একটি সরকারি স্কুলের ল্যাব-আসিস্টেন্ট শোভন আলী খান বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলা-সহ বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে গত 24 দিন ধরে চলছে অবস্থান ৷ তবুও সরকারের কাছ থেকে কোনও সারা মিলছে না ।’’ শিক্ষিকা চৈতালি সরকার বলেন, ‘‘করোনার সময় যখন এক টানা প্রায় 19 মাস বন্ধ রইল, তখন অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে মিড-ডে মিল সবেতেই আমরা কাজ করেছি । এবার ঠিক যখন স্কুল খুলবে তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে জানিয়ে দেওয়া হল আমাদের আর কাজে রাখা যাবে না ।’’

আরও পড়ুন : Agitation at Jhargram : বন্ধ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র অবিলম্বে খোলার দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

NSQF এর রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, ‘‘2013 সাল থেকে শিক্ষকতা করেও নূন্যতম সামাজিক সুরক্ষা পেলাম না । আমাদের নিয়োগ হয়েছিল সরকারের নিয়ম মেনে ৷ এখন কয়েক হাজার পরিবার দিশেহারা, ভাতের থালায় শুধুই চোখের জল, দু'মুঠো অন্নের জন্য আমরা রাস্তায় এবার পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করব ৷ স্কিলের এবং ডিজিটাল বাংলার কারিগরদের আজ কর্মহীন হতে হচ্ছে, সত্যিই দুৰ্ভাগ্যজনক ।’’

একটি বেসরকারি এজেন্সির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য কো-অর্ডিনেটর জানান, অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব-অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্কুলগুলিতে আর প্রয়োজন নেই। সেই মত টেন্ডারের 4.3 ক্লোজ অনুসারে এজেন্সি চিঠি দিয়েছে ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details