কলকাতা, 23 এপ্রিল : COVID-19-এর মোট পরীক্ষার পরিসংখ্যান সঠিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা ৷ কোরোনা সংক্রান্ত তথ্যের ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা ৷
সারা দেশে কোরোনার পরীক্ষা যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না ৷ বিশেষত, পশ্চিবঙ্গে এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷ চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকরা ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘গত এক সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 এর পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি ৷ এতে দু’টি বিষয় উদ্বেগজনক ৷ 1) রাজ্যে সঠিকভাবে পরীক্ষা হচ্ছে না ৷ 2) COVID-19 এ মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান ৷’’ চিঠিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা আরও জানিয়েছেন যে, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন ৷ তাই তাঁরা রাজ্যের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ৷
মুখ্যমন্ত্রীকে যে সকল প্রবাসী ভারতীয় চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিদেশে থাকলেও বড় হয়েছি কলকাতায় ৷ গত দেড়-দু’সপ্তাহ ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের COVID-19 সংক্রান্ত যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন ৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখা ৷ আমাদের বক্তব্য দু’টি ৷ এক, রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে COVID-19 পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ 14 এপ্রিলের রয়টারের রিপোর্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 পরীক্ষার হার প্রতি 10 লাখে 34 , অথচ ভারতে এই গড় প্রতি 10 লাখে 157 ৷ অর্থাৎ প্রায় পাঁচগুণ ৷ দুই, COVID-19 রোগীদের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না ৷ বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা জানি COVID আক্রান্তদের মৃত্যু হচ্ছে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর বা লিভার ফেলিওর থেকে ৷ কিন্তু, রিপোর্টে যদি মৃত্যুর কারণে কোথাও COVID-19 এর উল্লেখ না থাকে, তাহলে সেটা আংশিক সত্য বললেও কম বলা হয় ৷ জনস হপকিন্স কোরোনা ভাইরাস ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান হিসাবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা 456 ও মৃতের সংখ্যা 18 ৷ আমাদের আবেদন দু’টি ৷ এক রাজ্যে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে এবং পরিসংখ্যান সঠিকভাবে করতে হবে ও সামনে আনতে হবে ৷’’