পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jan 5, 2020, 10:00 AM IST

ETV Bharat / city

হ্যাপি সিংয়ের খুনির মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

আফতাব আনসারি সহযোগী হ্যাপি সিংয়ের খুনে অভিযুক্ত শেখ নিজামুদ্দিনের মৃত্যু হল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে । যক্ষা হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর । যদিও তার আইনজীবী মহম্মদ আফসার জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ।

abduction
হ্যাপি সিংয়ের খুনির মৃত্যু

কলকাতা, 5 জানুয়ারি : জেলের মধ্যে খুন হতে হয় খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হ্যাপি সিংকে । প্রেসিডেন্সি জেলের মধ্যেই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ ওঠে আরেক কয়েদি শেখ নিজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে । ঘটনা 2014 সালের । সেই নিজামুদ্দিনও অন্য একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল । ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় হয়ে যায় প্রেসিডেন্সি জেল । সেই ঘটনায় সাসপেন্ড হয় দু'জন কর্মীও । আজ মৃত্যু হল সেই নিজামউদ্দিনের । মূলত যক্ষা হয়েই এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর । যদিও তার আইনজীবী মহম্মদ আফসার জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ।

2001 সালের 25 জুলাই । তিলজলার তপসিয়া রোডের কারখানা থেকে খাদিম কর্তা পার্থ রায়বর্মনকে অপহরণ করে 5 জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী । ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য‌ । সাত দিন ধরে অপহরণ করে রাখা হয় খাদিম কর্তাকে । ওই সময়ের মধ্যে 3 কোটি 75 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে অপহরণকারীরা । এরপর 2 আগস্ট পার্থ ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে । তদন্তে জানা যায়, পার্থকে আটকে রাখা হয়েছিল হাওড়ার পাকুরিয়ায় । সেই ঘটনায় আফতাব আনসারির পাশাপাশি অন্যতম অভিযুক্ত ছিল হ্যাপি সিং । সেই হ্যাপি সিং-কে 2014 সালের মে মাসে জেলের মধ্যেই খুন করা হয় । CCTV ফুটেজে দেখা যায় মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল হ্যাপি সিংকে । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল নিজামউদ্দিন । অন্য একটি খুনের মামলায় 2007 সাল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে ছিল নিজামউদ্দিন । হ্যাপি সিং খুনের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় কারা বিভাগ । ঘটনায় হেড ওয়ার্ডেন ইনচার্জ মহম্মদ ইশক এবং ওয়ার্ডেন রাকেশ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হয় । তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মেলে ।

নিজামউদ্দিনের পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ আফসারের দাবি, 2009 সাল থেকেই নিজামউদ্দিন মানসিক রোগী । সেই সূত্র ধরে হাইকোর্টে আপিল করা হয় 2009 সালের পরেই । বলা হয়, উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হোক । আফসারের দাবি, সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল হাইকোর্ট । কিন্তু তার মুক্তির আগেই হ্যাপি সিংয়ের খুনের ঘটনা ঘটে । যেহেতু নিজামুদ্দিন মানসিক রোগী তাই তাকে ওই মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মহম্মদ আফসার । তিনি বলেন, "আমরা আদালতের কাছে তিনবার তার মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলাম । বলেছিলাম, জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক ভাবে তার চিকিৎসা করছে না । সেই কারণে তার যক্ষ্মা হয় । আদালত জামিন মঞ্জুর করেনি । জেল কর্তৃপক্ষ তার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি । সেই কারণেই আজ তার মৃত্যু হয়েছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details