কলকাতা, 28 অগস্ট: সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নীল সাদা 'ইউনিফর্ম' (Blue White School Uniform) নিয়ে যতই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হোক না কেন, এই বিরোধিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ নবান্ন (Nabanna) ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সদর কার্যালয়ের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ দুর্গাপুজোর আগেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের দুই 'সেট' করে ইউনিফর্ম বা স্কুলের পোশাক পৌঁছে দিতে হবে ৷
বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi) ৷ সেই বৈঠকে রাজ্যের সবক'টি জেলার জেলাশাসকরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ সূত্রের দাবি, শনিবারের ওই বৈঠকেই মুখ্যসচিব সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে নবান্নের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে ৷ তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ইউনিফর্ম বণ্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ৷ বলা হচ্ছে, বহু জেলাতেই ছাত্রছাত্রীদের দু'টির বদলে ইউনিফর্মের মাত্র একটি 'সেট' দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:স্কুলের নীল-সাদা ইউনিফর্ম তৈরির বরাত পেল কলকাতা পৌরনিগমের স্বনির্ভর গোষ্ঠী
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে, এই স্কুল ইউনিফর্মগুলি কেবলমাত্র মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়েই তৈরি করাতে হবে ৷ কিন্তু, বহু জায়গায় সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ ইউনিফর্ম তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে অন্যদের ! এই সমস্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা যাতে সঠিক সময়ের মধ্যেই তাদের দুই 'সেট' ইউনিফর্ম হাতে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে ৷
প্রসঙ্গত, আগে চলতি বছরের 15 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ইউনিফর্ম বণ্টনের প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু, কয়েকটি জেলায় ইউনিফর্ম বণ্টনের প্রক্রিয়া অত্যধিক শ্লথ গতিতে চলায় সেই সময়সীমা আরও 15 দিনের জন্য বাড়ানো হয় ৷ এছাড়াও, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুল ইউনিফর্ম বণ্টন নিয়ে কিছু সমস্যা সামনে এসেছে ৷ শনিবারের বৈঠকে সেগুলিও দ্রুত মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷
অন্যদিকে, স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির পারিশ্রমিক পেতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়েছে কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৷ তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট না থাকায় পারিশ্রমিকের বকেয়া অর্থ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ এই সমস্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সরাসরি নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ৷