ঝাড়গ্রাম, 19 মে : এসএসসি মামলায় (SSC Recruitment Scam) সিবিআই তৎপরতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) । তাঁর অভিযোগ, বিজেপি দেশজুড়ে তুঘলকী শাসন চালাচ্ছে । কারও বাঁচার অধিকার নেই । স্বাধীনতার অধিকার নেই ।
প্রসঙ্গত, গতকাল ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকের পর এদিন ছিল তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক (TMC Booth Level Meeting at Jhargram) । সেখানেই কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি । অতীতের মতো আরও একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের প্রশ্নে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি (Mamata Claims BJP using Central Agencies against Opposition Parties) ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এসএসসি দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসার পর কখনোই এই নিয়ে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী । তবে এদিন কর্মিসভা থেকে এই নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন তিনি । এবং নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে সিবিআই তদন্ত চলছে, তার পেছনে বিজেপির হাত থাকার ইঙ্গিত দেন তিনি ।
এদিন ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?
তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মাটির কংগ্রেস । এটা মা মাটি মানুষের পার্টি । এটা বিজেপি পার্টি নয় । বিজেপি পার্টি তো আজকে দেশে তুঘলকী রাজত্ব চালাচ্ছে । কয়েকটি এজেন্সি দিয়ে দেশে তুঘলকি কাণ্ড চালাচ্ছে । কারও দেশে বাঁচার অধিকার নেই । স্বাধীনতার অধিকার নেই । নাগরিক অধিকার নেই । সব অধিকারকে তারা খর্ব করে দিয়েছে ।’’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজেপি তাদের লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে । এবং তাদের কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে । মমতার ভাষায়, যত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিজেপির লোক ছাড়া কেউ যাবে না । যদিও এই নির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতের দিকে কি না, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি ।
সব প্রতিষ্ঠানে বিজেপির লোক, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিসের ইঙ্গিত মমতার ? এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিয়োগ দুর্নীতি বাম আমলেও যে হয়েছে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আগে তো চিরকুট দিয়ে চাকরি করতো । একটা চিরকুট দিয়ে ট্রান্সফার হতো । একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি হতো সিপিএমের 34 বছর । আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি । আস্তে আস্তে সব প্রকাশ করব । কিছু করিনি সব ভদ্রতা করেছি ।’’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভদ্রতা করাকে কেউ যেন দুর্বলতা না ভাবে । কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হতেই পারে । সংশোধন করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত । সেটা আইন আইনে পরিণত করে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত । কিন্তু গায়ের জোরে তুঘলুকি কাণ্ড করে বিজেপি যদি মনে করে তৃণমূলকে স্তব্ধ করতে পারবেন, জেনে রাখবেন তৃণমূল জব্দ করে, স্তব্ধ কখনও হয় না । তৃণমূল কংগ্রেস এতটাই শক্তিশালী ।’’
আরও পড়ুন :Mamata on Mao Issue : মাও আতঙ্ক পরিকল্পিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর