কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর : অতীতেও মুখ্যমন্ত্রী বারবার কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন । বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকেও একই সুর শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) গলায় । এসবের মাঝেই নবান্নের তরফ থেকে আরও একবার জানিয়ে দেওয়া হল, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (15th Finance Commission) সুপারিশের ভিত্তিতে যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল, সেক্ষেত্রেও প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র ।
এমনিতেই 100 দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে একটা অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী । তিনি রাজ্যের পাওনা চাইতে দিল্লি গিয়ে বৈঠকও করেছেন । কিন্তু তারপরেও রাজ্যকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি নবান্নের ।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে বেশ কিছু অর্থ পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে । এই অর্থ প্রদান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি রয়েছে । নবান্নের অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে এই অর্থ 100 দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র । বাস্তব কিন্তু তা নয় ।
নবান্নের দাবি, আসলে রাজস্ব ঘাটতি (Revenue Dues) সংক্রান্ত বিষয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল । সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই কেন্দ্র কিছুটা অর্থ রাজ্যকে দিয়েছে । তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এক্ষেত্রেও যে বরাদ্দ রাজ্যের প্রাপ্য, তা দেওয়া হয়নি । এক্ষেত্রেও রাজ্যের বরাদ্দ বাকি প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা । আর সেই হিসাবেই এবার প্রকাশ্যে আনল নবান্ন ।
অর্থ দফতরের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বরাদ্দ বাকি রয়েছে প্রায় 7 হাজার কোটি টাকা । করোনার (Covid Pandemic) কারণে সাম্প্রতিক অতীতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার । এক্ষেত্রে রাজ্যের রাজস্ব আদায় সাংঘাতিকভাবে কমে গিয়েছিল । কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে এই ঘাটতি মেটাতেই ধাপে ধাপে টাকা দিচ্ছে । সাম্প্রতিক যে অর্থ দেওয়ার কথা বিরোধীরা বলছে, তা আসলে এই বাবদ ষষ্ঠ কিস্তির টাকা ।
এক্ষেত্রে নবান্ন জানিয়েছে, এই অর্থ শুধু পশ্চিমবঙ্গকে নয়, পাশাপাশি অসম, অন্ধপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মনিপুর, মেঘালয়-সহ একাধিক রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র । আর 100 দিনের কাজ গ্রাম সড়ক যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যে অর্থের কথা বলা হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে এখনও রাজ্য অর্থের জন্য কেন্দ্রের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ।
আরও পড়ুন :বাম আমলে 1 টাকায় জমি লিজের জন্য বিপুল রাজস্ব ক্ষতি পৌরনিগমের, অভিযোগ ফিরহাদের