কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : কৃষক আন্দোলনে এর আগেও সরব হয়েছিলেন ৷ এবার ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ঠিক আগে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার ভবানীপুর গুরুদ্বারে গিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে পঞ্জাব ও বাংলার অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি ৷
ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট নিজেদের দিকে টানতে এদিন সরাসরি গুরুদ্বারে গিয়ে হাজির হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনিতে ভবানীপুরের অলিগলি ঘুরে তাঁর হয়ে প্রচার করছেন দলের নেতা মন্ত্রীরা। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর মতো প্রথমসারির নেতারা দলনেত্রীর হয়ে প্রচারে রাস্তায় নেমেছেন। তবে নিজের প্রশাসনিক দয়িত্বের ফাঁকে নিজের মতো করেই প্রচার সারছেন মমতা ৷ কখনও মন্দির, কখনও মসজিদ আর এদিন গুরুদ্বারে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বিকেল চারটের সময় নবান্ন থেকে সরাসরি ভবানীপুর গুরুদ্বারে পৌঁছন মমতা। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, ভোটের প্রচারও সারেন মমতা। এদিন সেখানে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, "শুভকামনা জানাতে গুরুদ্বারে এসেছি ৷ পেতেও এসেছি। আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। গুরুদ্বারে এলে মন শান্ত হয়ে যায়। এখানকার হালুয়া খুব পছন্দ করি। গুরুনানকজীর অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বহুদিনের। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন, তা শুরুই করেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে। আন্দামানে গিয়ে দেখিছে, যত মানুষ দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন তাদের মধ্যে পঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যা বেশি। কুড়ি বছর আগে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা সফর করেছি। পঞ্জাবের মানুষদের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি।"