কলকাতা, 24 মে: কোরোনা প্রতিরোধে চলা লকডাউনে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যার কেতাবি নাম মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (MAKAUT)। সেবার মাস্ক বিলি করে তারা। স্যানিটাইজার তৈরি করে বণ্টন করা হয়। পাশাপাশি দিন আনি, দিন খাই মানুষকে রান্না করা খাবার ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। এবার আমফানে বিপর্যস্ত মানুষের পাশেও একইভাবে দাঁড়াল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুর্যোগ পরবর্তী প্রতিদিন হরিণঘাটার প্রধান ক্যাম্পাসের কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা হচ্ছে খাবার। যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
এবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় - Haringhata
লকডাউনে দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আমফান বিধ্বস্তদের রান্না করা খাবার বণ্টন শুরু করল তারা। গত তিনদিনে 650 জন মানুষকে খাবার বিলি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হরিণঘাটার BDO এবং হরিণঘাটা পৌরসভার পৌরপ্রধান দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান। সেই মতো গত 22 মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি কিচেনে রান্না হচ্ছে খাবার। তারপর তা হরিণঘাটার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় 200 জনকে দেওয়া হচ্ছে এই খাবার। গত তিনদিন ধরে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় 650 জন মানুষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, "আমাদের ক্যাম্পাস থেকে যাঁরা ঝড়ে বিধ্বস্ত তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অস্থায়ী শেল্টারে রাখা হয়েছে। এভাবে যেখানে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জমায়েত করে রয়েছেন সেখানেই খাবার বিলি করা হচ্ছে। আজও প্রায় 150 জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। এভাবে এখনও পর্যন্ত প্রায় 650 জন মানুষের মধ্যে খাবার বিলি করা হয়েছে। আমরা আমাদের কমিউনিটি কিচেনে খাবার তৈরি করে রাখছি। প্রশাসন তরফ থেকে তা নিয়ে গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"