কলকাতা, 12 জানুয়ারি: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা না দিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। তবে, শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সোমবার জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।
রাজ্যের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলে সোমবার রাণাঘাটের এক সভা থেকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, বিভিন্ন ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।
স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা না দিলে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করবে কমিশন - private hospitals
রাজ্যের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলে সোমবার রাণাঘাটের এক সভা থেকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা বেসরকারি কোনও হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম দিতে না চাইলেও কি ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য কমিশন ? এই বিষয়ে সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।" তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করব।"
এদিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু রাখতে যাতে সমস্যা দেখা না দেয় তারজন্য ইতিমধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। গত শনিবার এমন এক বৈঠকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরির কথা বলেছে রাজ্য সরকার। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে যাতে কোনও সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠনের পরামর্শ-ও গত শনিবারের ওই বৈঠকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি, রোগীদের সহায়তার জন্য প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী ডেস্ক চালুর কথাও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে থাকা কোনও রোগীকে যাতে কোনও হেনস্থার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য এই ডেস্ক কাজ করবে ।