কলকাতা, 21 অক্টোবর: উৎসবের আবহে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় সামলানোই যখন দায়, সেই সময় শহর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক অপরাধের পর্দাফাঁস করেছে কলকাতা পুলিশের মহিলা বাহিনী । নিজের বাড়িতে লালসার শিকার কিশোরীকে উদ্ধার হোক বা জমজমাট পার্কস্ট্রিটের বুকে অন্ধকার জগতের হদিশ, যেখান থেকে ছোট ছোট মেয়েদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছিল, পঞ্চমী থেকে দশমী, শহর জুড়ে দফায় দফায় কার্যত অসুর নিধন করলেন কলকাতা পুলিশের ‘দুর্গা’বাহিনী ৷
উৎসবের আবহে আনন্দ-ফূর্তির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবেই অপরাধমূলক ঘটনার বৃদ্ধি নতুন কিছু নয় ৷ তাই গোটা শহর উৎসবে শামিল হলেও, স্বাভাবিক ভাবেই কাজ অনেক গুণ বেড়ে যায় পুলিশের ৷ এ বারেও তার অন্যথা হয়নি ৷ নতুন জামাকাপড় পরে মানুষ যখন প্যান্ডেলে ভিড় করছেন, তাঁদের ঠিক পাশেই কখনও সাদা উর্দি পরিহিত অবস্থায়, কখনও আবার সাধারণ পোশাকে ভিড়ে মিশে গিয়ে অপরাধ নিবারণে ব্যস্ত ছিলেন কলকাতা পুলিশের মহিলা অফিসাররা ৷ তাতেই একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা এড়ানো গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন:Suvendu-Babul : পিসি-ভাইপোর সঙ্গে কীসের চুক্তি ? বাবুলকে আক্রমণ শুভেন্দু'র
পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর শহরে এ বারে অপরাধ দমনে অগ্রণী ভূমিকায় থিলেন তন্দ্রিমা গুপ্ত মুখোপাধ্যায়, বর্ণা ঘোষাল, সরোজিনী সোরেন, মেঘনা কর, মানসী কর্মকার, মিনু সোনার, কুমারিকা মজুমদার এবং রত্না সরকারের মতো অফিসাররা ৷ একটি তিন বছরের শিশুকে যৌন নিগ্রহ থেকে রক্ষা করেছেন তাঁরা ৷ আবার ভিন্ রাজ্যে মেয়ে পাচারও রুখে দিয়েছেন ৷
পুজো চলাকালীনই পার্কস্ট্রিট থেকে এক দল মেয়েকে পাচারের প্রক্রিয়া চলছিল ৷ একটি ঘরে বেশ কয়েক জনকে আটকে রাখা হয়েছিল তার জন্য ৷ এই গোটা চক্রের মাথায় আবার দুই মহিলাই ছিল ৷ নিজের টিমকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েগুলিকে উদ্ধার করেন তন্দ্রিমা ৷ অভিযুক্ত দুই মহিলাকে জেলে পুরেছেন তিনি ৷ বিষয়টির গভীরে পৌঁছতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷