কলকাতা, 3 অগাস্ট : কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে দিদি ও দু’টি কুকুরের কঙ্কাল আঁকড়ে রেখে দিয়েছিলেন একদা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ দে । একই বাড়িতে থাকতেন বাবাও । বাবার মৃত্যুর পরেই কলকাতার কঙ্কাল কাণ্ড সামনে আসে । প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রামগড় এলাকায় ৷ ছেলের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন মা ৷
নেতাজিনগর থানা এলাকার রামগড়ে গত 4-5 বছর ধরে এই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন সোমনাথ কুণ্ডু (40) ও তাঁর মা ৷ শুক্রবার বিকেলেই বাড়িওয়ালা পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয় ক্লাবকে জানান ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সোমনাথবাবুর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ৷ ছেলের মৃতদেহের পাশেই বসেছিলেন সত্তরোর্ধ্ব মহিলা ৷ অসুস্থ মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে ৷
এলাকায় মা ও ছেলে দু'জনেই মিশুকে বলেই পরিচিত ছিলেন ৷ সোমনাথবাবু কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করতেন ৷ শেষ তিনদিন ধরে তাঁদের বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি ৷
কলকাতার রামগড়ে ছেলের মৃতদেহ আগলে বৃদ্ধা দু-একদিন ধরেই তাঁদের ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ আসছিল । তবে শুক্রবার ওই দুর্গন্ধ অতিরিক্ত মাত্রায় বেরোতে থাকে । বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি ৷ আর তারপরেই সন্দেহের বশে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা । পুলিশ এসে বহুবার ডাকাডাকি করার পর বৃদ্ধা দরজা না খোলায়, শেষে ভাঙতে হয় দরজা । দরজা ভেঙেই পুলিশ দেখতে পায়, ছেলের মৃতদেহ ফুলে রয়েছে। সেই দেহ আগলে রয়েছেন মা ।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে সোমনাথের ৷ আজ তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে ৷ তারপরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ ৷