কলকাতা, 24 অগস্ট: মশা মারতে অবশেষে মিলল ড্রোনের ছাড়পত্র ৷ মশার লার্ভা মারতে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ ছড়ানোর সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল । তবে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ছিল সেই ফাইল (Drone Based Mosquito Control System)। অবশেষে পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ছাড়পত্র মেলায় এবার মশা মারতে শহরে আকাশে চক্কর কাটবে ড্রোন (KMC gets Permission to use Drone Based Mosquito Control System)। ছাত্রপত্র মেলার কথা জানিয়েছেন কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ ।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বন্ধ করতে কলকাতা কর্পোরেশন বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই মশার উৎস থেকে নিধনের পথ বেছে নিয়েছে । তবে বহু ক্ষেত্রে উৎস চিহ্নিত করা গেলেও লার্ভা ধ্বংস করা যায় না । আবার বেশ কিছু উৎসস্থল নজরেও আসে না । লার্ভার উৎসে পৌঁছতে ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ। ড্রোনের ট্রায়ালও দেওয়া হয়েছিল । তবে ছাড়পত্র না মেলায় ড্রোন ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি ।
মঙ্গলবার 8 নম্বর বরো এলাকার মশাবাহিত রোগের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয় । সেখানেই ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বরো চেয়ারম্যান চৈতালি চক্রবর্তী-সহ সমস্ত কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য কর্তারা উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী তিনমাস প্রতি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগের পরিস্থিতির উপর নজরদারি চলবে । বরো চেয়ারম্যান চৈতালি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বরোগুলিতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো । ম্যালেরিয়া সামান্য রয়েছে । আগামী তিনমাস ওয়ার্ডগুলিতে আরও বেশি করে নজরদারি চালানো হবে ৷
আরও পড়ুন : রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা নবান্নর
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, মশা মারতে কলকাতার আকাশে ড্রোন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর । বহুতল, ঘিঞ্জি এলাকা, উড়ালপুল এসব জায়গায় পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর কন্ট্রোল দল ঢুকে অভিযান চালাতে পারত না । সেখানে ড্রোন দিয়ে মশার আঁতুরঘর চিহ্নিত করা হবে । ড্রোনের মাধ্যমে মশা নিধনের ওষুধ মিশ্রিত তেল স্প্রে করে লার্ভা ধ্বংস করা হবে ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে নামল বিধাননগর পৌরনিগম