কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর:কলকাতার শেরিফকে ডেকে বাস মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। পরে ক্ষমা প্রার্থনার পর বাস মালিককে 2 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় (HC Fines Bus Owner )। 5 দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ না দিতে পারলে তাঁকে জেল হেফাজতে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।
ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে নতুন করে কোনও বাসের পারমিট (Illegal route) দেওয়া হয় না । যাঁদের পুরনো পারমিট আছে, তাঁরাই একমাত্র ওই বাস টার্মিনাসে বাস চালাতে পারেন । কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বাস মালিক ধর্মতলা-পুরুলিয়া রুটে বাস চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে । মামলাকারী আলপনা হালদার পুরনো পারমিটে দুটি বাস চালান । তাঁর আইনজীবী দুর্গা প্রসাদ দত্তের অভিযোগ, ধর্মতলায় বাসের পারমিট না থাকা সত্ত্বেও শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের WB 55A3636 ও WB55A3838 বাস দুটি ধর্মতলা রুটে চলাচল করে । রাজ্য পরিবহণ দফতরের পারমিট অনুযায়ী এই দুটি বাস রাতে করুণাময়ী থেকে পুরুলিয়ার ঝালদার মধ্যে চলাচল করবে । কিন্তু তারা নির্দিষ্ট রুটে না গিয়ে ধর্মতলার রুটটি ব্যবহার করে । বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাস মালিক আলপনা হালদার । তাঁরও দুটি বাস রাতে ধর্মতলা থেকে পুরুলিয়ার মধ্যে যাতায়াত করে । পরিবহণ দফতরের নির্দিষ্ট রুট না মানার অভিযোগ নিয়ে তিনি আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে ।
2020 সালের 15 ডিসেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ধর্মতলার রুটে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন । পরবর্তীকালে সেই নির্দেশ না মেনে শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালিকাধীন WB 55A3636 ও WB55A3838 দুটি বাস চলাচল করতে থাকে । রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে বেআইনি রুটে চলাচলের জন্য বারংবার জরিমানা করা হয় । তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন আলপনা হালদার ।