কলকাতা, 25 জুন :জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ডে অমৃতাভ চৌধুরীর (Amritava Chowdhury) বয়স জানার জন্য তাঁর ওসিফিকেশন টেস্ট (Ossification Test) করাল সিবিআই ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়ে এই পরীক্ষা করানো হয় ৷ এছাড়া, ইতিমধ্য়েই অমৃতাভর ডিএনএ পরীক্ষা (DNA Test) করিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷
সূত্রের খবর, অমৃতাভর ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে চলে এসেছে ৷ প্রয়োজনে সেটি দিল্লিতে সংস্থার সদর দফতরে পাঠানো হতে পারে ৷ এমনকী, তদন্তের স্বার্থে অমৃতাভর ওসিফিকেশন টেস্টের রিপোর্টও দিল্লিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে পারেন কলকাতার দফতরের আধিকারিকরা ৷ তবে অমৃতাভর ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তাঁরা ৷
আরও পড়ুন :Jnaneswari accident : জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে অমৃতাভ ও তাঁর বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করবে সিবিআই
প্রসঙ্গত, 2010 সালের 28 মে রাত একটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের (বর্তমানে ঝাড়গ্রাম) সরডিহার কাছে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ৷ সরকারি হিসাব বলছে, ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছিল 148 জনের ৷ মৃতদের তালিকায় নাম ছিল কলকাতার অমৃতাভ চৌধুরীরও ৷ পরবর্তীতে তাঁর মৃত্য়ুর ক্ষতিপূরণবাবদ চৌধুরী পরিবারকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয় ৷ চাকরি পান তাঁর বোন ৷ কিন্তু সম্প্রতি সামনে আসে অন্য ঘটনা ৷ জানা যায়, সরকারের খাতায় ‘মৃত’ অমৃতাভ বহাল তবিয়তেই জীবিত রয়েছেন ৷ এরপরই প্রতারণার অভিযোগে অমৃতাভ ও তাঁর বাবা মিহিরকুমার চৌধুরীকে আটক করে সিবিআই ৷
তদন্তে জানা যায়, ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল করে নিজেকে ‘মৃত’ প্রমাণ করেছিলেন অমৃতাভ ৷ এরপরই তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করাতে উদ্যোগী হয় সিবিআই ৷ তাঁর বয়স ঠিক কত, তা জানতেই করানো হয় ওসিফিকেশন টেস্ট ৷ তার জন্য অমৃতাভর হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ পাশাপাশি, ফোটো অ্য়ালবাম থেকে অমৃতাভর পুরোন ছবিও সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সময় তাঁর বয়স কত ছিল এবং তাঁকে দেখতেই বা কেমন ছিল, আপাতত সেসবই যাচাই করে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন :Jnaneswari fraud : মন্তেশ্বরের পৈতৃক ভিটেতে যাতায়াত ছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় 'মৃত' অমৃতাভের
এদিকে, এই ঘটনায় রেলের কেউ জড়িত কিনা, সেই প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে ৷ এমনকী, অমৃতাভ সিবিআইয়ের জালে আসার পর সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরার সামনেই তাঁকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে ৷ তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, রেলের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা বা আধিকারিকের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি ৷ তাছাড়া, ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট দেওয়া যাঁর- তাঁর কাজ হতে পারে না ৷ সেক্ষেত্রে সরকারি কোনও চিকিৎসক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷