কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : সন্ত্রাস এক ধরনের রোগ। চিকিৎসার ভাষায়, এই রোগ সারানোর জন্য সেনাবাহিনীকে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া উচিত। পরে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির সমাধান প্রয়োজন। পাশাপাশি কাশ্মীরের মানুষ যাতে শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারে তারও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গোটা দেশ শহিদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে রয়েছে। গতকাল মোমবাতি মিছিল থেকে এই বার্তা দেন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে এই মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ইন্টার্ন ডাক্তার সায়ন রায় বলেন, "চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে দু'রকম ভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে। আপনার রোগ হয়েছে। রোগ হলে ওষুধ খেতেই হবে। ওষুধের মাধ্যমে রোগ সারানো একটা সমাধান। আর রোগ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হল অন্য সমাধান।"
তিনি আরও বলেন, "সন্ত্রাস একটা রোগ। এই রোগ সারাতে সেনাবাহিনীকে যেমন ফ্রি-হ্যান্ড দিয়েছে সরকার, তেমনই দেওয়া উচিত। আগে আমাদের নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে, তারপর অভ্যন্তরীণ যত সমস্যা রয়েছে সেগুলি আলোচনা দরকার।" সেনা আক্রান্ত হওয়ার পিছনে ইন্টেলিজেন্সের খামতি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তবে এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের প্রয়োজন আছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "সেনাবাহিনী যেটা মনে করবে সেটাই করুক। যুদ্ধ হলে সবার অসুবিধা। আমরা যুদ্ধ কোনওদিন চাইতে পারি না। কিন্তু, একই সঙ্গে আমাদের প্রতিরোধের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। আমাদের চুপ থাকা ও ভালো ব্যবহারকে যেন কেউ দুর্বলতা বলে মনে না করে।"
গতকালের মোমবাতি মিছিলে মেডিকেলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি ছিলেন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তাররাও। সেকেন্ড ইয়ারের এক পড়ুয়া বলেন, "চুপচাপ আমরা থাকি বলে বারবার এরকম হচ্ছে। এবার মনে হয় সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।" আরও এক পড়ুয়া বলেন, "সন্ত্রাসের কোনও দেশ হয় না। কিছু লোক নিজের ভাবনায় সন্ত্রাসবাদী হয়ে যায়। এসব হওয়া উচিত নয়। এখানে সবাই একে অন্যের ভাই। সবার একতার সঙ্গে থাকা উচিত।"