পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

নোবেলজয়ীকে D.Litt দেওয়ার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে খুশি আচার্য - জগদীপ ধনকড়

নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক D. Litt দেওয়ার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে খুশি আচার্য জগদীপ ধনকড় ৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেও এর আগে সমাবর্তন ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত অন্য ইশুতে তৈর হওয়া বিতর্কিত বিষয়গুলি এড়িয়ে যান তিনি ।

University of Calcutta
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

By

Published : Jan 25, 2020, 1:30 AM IST

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: এই বছর সমাবর্তনে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক D.Litt দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । আগামী 28 জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে হতে চলেছে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠান এবং সেখানে আচার্যের ভূমিকা নিয়ে গত বছর থেকেই একের পর এক বিতর্কের তৈরি হয়েছিল । এমনকী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নোবেলজয়ীকে সাম্মানিক D.Litt শেষ পর্যন্ত দিতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছিল । সেই সংশয় না কাটলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ গতকাল তিনি এ কথা জানান ৷ গতকাল রাজভবন থেকে একটি বিবৃতি জারি করে নোবেলজয়ীর প্রশংসা করেন ৷

রাজভবন থেকে জারি করা বিবৃতিতে আচার্য বলেন, "অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক D.Litt দেওয়ার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত প্রশংসাযোগ্য । যে কোনও মাত্রায় তিনি এই সম্মানের যোগ্য । 28 জানুয়ারি যেদিন ওঁকে এই সাম্মানিক প্রদান করা হবে সে দিনটি গোটা রাজ্যের জন্য আনন্দের মুহূর্ত হবে । বাঙালিরা সময়ে সময়ে দেশবাসীকে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়েছে । এই প্রেক্ষিতে তাঁর সাফল্য নতুন উদাহরণ । অর্থনীতির ক্ষেত্রে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান নোবেল কমিটি সঠিকভাবেই চিহ্নিত করেছে ।"

তিনি আরও বলেন, "অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সান্মানিক D.Litt দেওয়ার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত সুচিন্তিত এবং করতালির যোগ্য । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত । এ'টা এমন একটা মুহূর্ত যা প্রত্যেকের, বিশেষ করে স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল হিসেবে আমার ধরে রাখা উচিত ।"

যদিও এর আগে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল সংঘাতের পরিবেশ । দেখা দিয়েছিল বিতর্ক । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন আচার্য ৷ সেনেট বৈঠক হওয়ার আগের দিনই হঠাৎ অনিবার্য কারণবশত বৈঠক বাতিল করে দেওয়া, বৈঠকের দিনে আচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত না থাকা, উপাচার্যের ঘর তালাবন্ধ থাকায় বসার উপযুক্ত জায়গা না পাওয়া, তাঁকে ছাড়াই সমাবর্তন নিয়ে সেনেট বৈঠক সেরে ফেলার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছিল । সব ঘটনাতেই উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন আচার্য ।

এমনকী কিছুদিন আগেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সংক্রান্ত ফাইল আটকে দিয়েছিলেন । সে বিষয়ে জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে রাজ্যপালকে ছাড়াই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান । তারপরে রাজ্যপালের তরফে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছিল, সমাবর্তন সংক্রান্ত ফাইল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । তারপরেও দেখা যায়, সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে নাম ছাপা হয়নি আচার্যের । তা নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল । বিবৃতিতে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেও বিতর্কের বিষয়গুলি এড়িয়ে গেছেন ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details