কলকাতা, 11 এপ্রিল : দু'পক্ষকেই রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে BLLRO মাঠ পরিদর্শন করবেন। তারপর কে কোন জায়গায় তাদের রামনবমী উৎসব পালন করতে পারবে তা জানাবেন। আজ এই নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
14 এপ্রিল মেচেদার রামনবমী উৎসব সমিতি মেচেদা সংলগ্ন একটি জায়গায় রামনবমী পালন করার অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেই মাঠ দখল করছে। এই অভিযোগে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রামনবমী উৎসব সমিতি। বিচারপতি দেবাংশু বসাক গতকাল মামলাকারীর আইনজীবীকে সাইড প্ল্যান ও ওই জায়গার ছবি জমা করতে বলেন। আজ সেই মতো ম্যাপ সাবমিট করেন তাঁরা।
গতকাল রামনবমী উৎসব সমিতির তরফে সভাপতি তুষার দোলুই বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট ও রামনবমী উৎসব সমিতির উদ্যোগে মেচেদা মাতঙ্গিনী ময়দান ও শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব মন্দির সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আগে থেকেই প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছি। এবং জায়গাটা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকায় তাদের থেকেও অনুমতি নিয়েছি আমরা। কিন্তু ওই এলাকার শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা কোনও অনুমতি ছাড়াই জগন্নাথদেব মন্দির সংলগ্ন মাঠ দখল করে সেখানে পুজো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রায় 20 হাজার লোকের খাওয়া দাওয়া ও গাড়ি পার্কিং করার জন্য আমরা 7-15 এপ্রিল পর্যন্ত ওই মাঠের অনুমোদন পেয়েছি প্রশাসনের তরফে। তারপরও এটা কী করে হয়?"
মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে উঠলে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও অনুপ দাশগুপ্ত বলেন, "মাতঙ্গিনী ময়দানটা আমরা পুজোপাঠ করার জন্য এবং শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব মন্দির মাঠে লোকজনের খাওয়া দাওয়া ও গাড়ি রাখার জন্য অনুমতি নিয়েছি। ৫০০ মিটারের মধ্যে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আরও অনেক জায়গা রয়েছে। তবুও আমাদের জায়গা দখল করতে চাইছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।" অন্যদিকে রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত বলেন, "আমরা সবাইকেই পুজো পাঠ করার অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু কোনও মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।"
জেলাশাসক যাতে বিষয়টি দেখেন আজ মামলাকারীর তরফে ফিরোজ এডুলজি সেই আবেদন জানান। কিন্তু বিচারপতি বলেন, "এখন নির্বাচনের সময় জেলাশাসকরা অত্যন্ত ব্যস্ত। আমি BLLRO-কে নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছি। তিনি পরিদর্শন করার পর ঠিক করে দেবেন কে কোন জায়গায় তাদের রামনবমী উৎসব পালন করবে।"