কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর জ্ঞান ফিরল বুধবার গভীর রাতে। তাঁর শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট ধীরে ধীরে কমানো হচ্ছে। তবে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সংকটমুক্ত নন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সিওপি়ডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ়)-এর সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই সমস্যার কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও তাঁকে দক্ষিণ কলকাতায় আলিপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। এর পরেও মাঝে মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়েছেন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলেছিল। গতকাল, বুধবার 76 বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অক্সিজেন স্যাচুরেশন 70-এ নেমে এসেছিল। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সিওপিডি-র কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই অসুস্থতা এবং তাঁকে আবার হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ভরতি করানোর পরে বর্ষীয়ান বাম নেতার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ যাতে বাড়ানো সম্ভব হয়, তার জন্য তাঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রাখা হয়। এর পরে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যেতে থাকে। এই অবস্থায় তাঁকে ইলেকটিভ ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রাখা হয়। ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর অর্থাৎ শারীরিক অবস্থার আরও অবনতির আগেই ভেন্টিলেটরের সাপোর্টের ব্যবস্থা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইলেকটিভ ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা না হলে বুধবার তাঁকে বাঁচানো নাও সম্ভব হতে পারত। এদিকে, হাসপাতালে ভরতি করানোর পর থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসায় সাড়া দিলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে, কিছুটা হলেও এখন তাঁদের উদ্বেগ কমেছে। কারণ, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞান ফিরেছে। চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তীর অধীনে আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসা চলছে।