কলকাতা, 28 জুলাই: দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে সিট । জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি রসিকা জৈনের স্বামী কুশল আগরওয়াল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন (Division bench of Cal HC upholds decision of single bench )। সেই আপিল এদিন খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। কিছুদিন আগে বিচারপতি শম্পা সরকার রসিকা জৈনের রহস্য মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রখ্যাত আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে। একটি বিশেষ তদন্তকারী টিম (এসয়াইটি) গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
Rashika Jain Case: রসিকা জৈন মামলায় শ্বশুর বাড়ির আবেদন খারিজ, তদন্ত চালাবে সিট
ছ'দিন আগে বিচারপতি শম্পা সরকার রসিকা জৈনের রহস্য মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে। একটি বিশেষ তদন্তকারী টিম (এসয়াইটি) গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি (Cal HC gave new direction in Rashika Jain case)।
আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়া-ফ্ল্যাটে গুপ্তধন ! সোনার কলম সমেত 4 কোটিরও বেশি টাকার গয়না উদ্ধার
2020 সালে কলকাতার আলিপুরের অত্যন্ত ধনী ব্যাবসায়ী কুশল আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহ হয় রসিকার। কিন্ত বিয়ের পর থেকেই তাঁকে শরীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ ওঠে। 2021 সালের 16 ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রসিকা জৈনকে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পিছনে তাঁর শ্বশুরবাড়ির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রসিকার বাবা।
২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন তাঁরা। আলিপুর আদালতে মামলাটি উঠলে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়াল । কিন্তু হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। তারপরই কুশল আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । রসিকার বাবার অভিযোগ ছিল বিয়েতে শ্বশুর বাড়ির দাবি মতো তারা মেয়েকে প্রায় ৮ কোটি টাকার স্ত্রীধন দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে মারা যাওয়ার পর সেসব ফেরত দিতে অস্বীকার করে কুশল। পাশাপাশি ওই ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়েনি। পুলিশ কোনও তদন্তও শুরু করেনি বলে অভিযোগ তোলেন রসিকার পরিবারের লোকজন। রসিকার স্বামীর ফোনে অন্যান্য মহিলাদের সাথে নানা রকম অশ্লীল কথোপকথনের বার্তা ও পাওয়া গিয়েছিল। যদিও ফোন সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ফরেনসিক করতে পাঠাতে হয়েছে সিএফএসএল ভোপালে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তারপরই বিচারপতি শম্পা সরকার আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের রায় সেই নির্দেশই বহাল রইল ৷
TAGGED:
Rashika Jain Case