বিধাননগর, ৫ মার্চ : বেতন বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন SSK ও MSK শিক্ষকরা। গতকাল সেখানে আসেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "এই সরকার সবচেয়ে উদাসীন শিক্ষা দপ্তর নিয়ে। এরা একটি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না। পরীক্ষা হলে রেজ়াল্ট বের হয় না। রেজ়াল্ট বের হলে চাকরি হয় না, অনেক সময় নতুন বছর শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে পুলিশ দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়।"
শিক্ষা নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার : দিলীপ ঘোষ
শিক্ষা নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার। গতকাল SSK ও MSK শিক্ষকদের বিক্ষোভে এসে একথা বলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, "বাম আমলে SSK ও MSK-দের নেওয়া হয়েছিল। জীবনের বেশিরভাগ সময় এই চাকরিতে কেটে গেল। সেই পাঁচ থেকে আট হাজার টাকার বেতন পান। তাদের তো ন্যূনতম বেতন পাওয়া উচিত। প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ রয়েছে। তাদের পরিবার রয়েছে। সরকারের তো একটি দায় আছে। কমপক্ষে একটু সমবেদনা থাকা উচিত আজ বর্ধমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর আসছেন। আমি তাঁকে বিষয়টি জানাব।" সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে BJP নেতা বলেন, " গত কয়েক বছরে যারা নির্বাচনে রিগিং করেছে, পুরোপুরি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব। এই রাজ্যে পুলিশ ভোট করায়। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এই পুলিশ অফিসারদের সরাতে হবে।"
বেতন বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন SSK ও MSK শিক্ষকরা।তাঁদের দাবি, ২০০৮ সালের পর বেতন বাড়েনি তাঁদের। অভিযোগ বহুবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই পথে নেমে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। পাঁচ হাজার বেতনের বিনিময়ে তাঁদের ফুল টাইম কাজ করতে হচ্ছে। যারা স্থায়ী শিক্ষক তাঁদের একই সময়ে কাজের বিনিময়ে বেতন কাঠামো কয়েকগুণ বেশি। ফলে তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের। ২০১৩ সালে ক্যাবিনেট বৈঠকে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পাশ হলেও কার্যকর হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীকে বারংবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। দাবি আদায় না হওয়া অবধি অনশন চলবে জানিয়েছে আন্দোলনকারী ঐক্য মঞ্চ।