কলকাতা, 25 জুলাই: শিক্ষা দফতরে দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । অভিযোগ, শিক্ষা দফতরের দুর্নীতির টাকা পাচার (Money Laundering) হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) এই টাকা পাচার করার মূল দায়িত্বে ছিলেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তিনটি সংস্থার । কিন্তু সংশ্লিষ্ট তিনটি সংস্থা পুরোপুরি ভুয়ো বলে অভিযোগ ইডির । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রেডিং এবং এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ক ছিল ওই তিনটি সংস্থা । সেগুলির প্রত্যেকটিই ভুয়ো বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ।
একটি সংস্থা রেজিস্টার্ড রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার ডায়মন্ড সিটি বাড়ির ঠিকানায় ৷ আর অন্য দুটিতে দেওয়া রয়েছে উত্তর 24 পরগনার বেলগাছিয়া ও দক্ষিণ কলকাতার কসবার রাজডাঙার ঠিকানা । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের অনুমান, এই তিনটি সংস্থাকে কাজে লাগিয়েই বেআইনি টাকা সরানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন:কড়া নিরাপত্তার বলয়ে আজ ফের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে অর্পিতাকে
ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমে (SSC Recruitment Case) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা টেট ও এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি যোগাযোগ পেয়েছেন । অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় 21 কোটি টাকা, লক্ষ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারের পর গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণে টাকা আগেই সরানো হয়েছে বাংলাদেশে । এর জন্য বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা হাওয়ালার মাধ্যমে সেই টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ।