কলকাতা, 1 মে : রাজ্যপালের সম্মতির পরেও শান্তিতে নেই বাবুল সুপ্রিয় । কারণ, তাঁর বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা কাটার বদলে, তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের সিদ্ধান্তে আরও একবার জটিলতা দেখা গেল রাজ্য বিধানসভায় ৷ রাজ্যপাল অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অধিকার দিয়েছেন ৷ আর এখানেই বেঁকে বসেছেন উপাধ্যক্ষ ৷ তিনি স্পষ্ট বলেছেন, কোনওভাবেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানিত করে বা বিধানসভাকে উপেক্ষা করে তিনি কোনও বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারবেন না (Deputy Speaker of State Assembly Denied to Read Oath Taking of Babul Supriyo) ৷
এই পরিস্থিতিতে বাবুল সুপ্রিয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কী হবে ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা ! কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বালিগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ককে ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ! আর এই সাংবিধানিক জটিলতার মূলে রাজ্যপাল বলেই অভিযোগ তৃণমূলের ৷ কারণ, তিনিই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্য়োপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার দিয়েছেন ৷ আর তাই রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের একাংশ ৷
তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলছেন, ‘‘এই ঘটনা শুধুমাত্র অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমান নয় ৷ এটা পরিষদীয় চৌহদ্দিতে বিভাজন তৈরি করার স্পষ্ট প্রয়াস - যেটা খুব সূক্ষ্ম ভাবে করতে চাইছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় ৷ নিজে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়ে অধ্যক্ষের সাংবিধানিক পদকে অপমান করার প্রয়াস ৷ এটা শুধুমাত্র নিন্দাজনক বিষয় নয়, নজিরবিহীন ঘটনাও ৷ সবচেয়ে বড় কথা এমন ঘটনা একবার নয় ৷ রাজ্যপাল জেনেবুঝে বারবার করছেন ৷ আর সে কারণেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন ৷’’