কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি: দিলীপবাবুবলেন, "IPL-এ কজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলে? একজনও খেলে কি? রাজনীতিটা ওঁনারা করবেন। আমরা দেশের সুরক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে, সেনাদের প্রাণকে বিসর্জন দিয়ে খেলব। যাঁরা বলছে খেলার কথা তাঁরা নিজের স্বার্থে বলছেন, দেশের জন্য বলছেন না। সেজন্য আজকে একজন ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর ওই দেশ আমাদের আক্রমণ করছে বারবার। সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেনার মৃত্যু হচ্ছে। ক'জন নিন্দা করছেন? পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এখানে খেলে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। ওখানকার গায়করা এখান থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। কজন নিন্দা করেছে এর? কেন নিন্দা করেনি? কেন চলছে এটা? অথচ আমাদের সৈনিকরা প্রাণ দেবে, সাধারণ মানুষ প্রাণ দেবে। অথচ আমরা তাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলব? যে ক্রিকেটারা এমন কথা বলছে তাদের বয়কট করা দরকার।"
"যে ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চাইছেন, তাঁদের বয়কট করা উচিৎ"
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার পক্ষে যে সব ক্রিকেটাররা মত দিয়েছেন তাঁদের বয়কট করার দাবি জানালেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, "দেশ বিপন্ন। আজ দেশে যা কিছু উৎপাত হচ্ছে তার জন্য পাকিস্তান দায়ী। আগে ওরা ব্যবহার ঠিক করুক। নইলে শুধু ক্রিকেট নয়, সব দিক থেকে পাকিস্তানকে বয়কট করা উচিৎ।"
বিভিন্ন রাজ্যে কাশ্মীরিদের উপর আক্রমণের জন্য BJP-কেই দায় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এখন ওনার BJP ম্যানিয়া হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেও BJP-র দোষ, না হলেও। কারও মৃত্যু হলে, কারও সঙ্গে কারও ঝগড়া হলে সব জায়গায় BJP দেখেন। ওই ভূতটা ছাড়াবার দরকার আছে। প্রশাসন চালান। যারা দোষী তাদের সাজা দিন। আমাদের পশ্চিম বাংলায় আগেও প্রচুর গুজব ছড়িয়েছে। নতুন করে আবার ছেলেধরার গুজব রটেছে। অযোগ্য শাসক থাকলে এরকম উৎপাত হয়। সেই জন্য নিজের কাজটা উনি করুন। BJP কে জড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। নিজের অযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি রাস্তার লোকের মতো কথা বলেন তবে সেই কথার গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই।"
প্রসঙ্গত শুক্রবার দিলীপবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইডেনের ক্লাব হাউস থেকে ইমরান খানের ছবি না সরালে বিক্ষোভ হবে। এর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল দুপুরে দফায় দফায় ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে ইডেনের ক্লাব হাউসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে BJP-র যুব সংগঠন যুব মোর্চার কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখায়। স্লোগান চলে। ক্লাব হাউস থেকে অবিলম্বে ইমরান খানের ছবি সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ছবি না সরানো হলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুব মোর্চা।