কলকাতা, 14 এপ্রিল : অনেক হয়েছে আর নয়। আর সহ্য করা হবে না। আজ এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করলেন CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সূর্যকান্ত মিশ্র। কোরোনাভাইরাস পরীক্ষা যথাযথভাবে হচ্ছে না এই রাজ্যে। কেরালা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কীভাবে কোরোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে হয়। কেবলমাত্র শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভব কোরোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা। প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত কিট না থাকায় কোরোনা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ করলেন বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সূর্যকান্ত মিশ্র।
আজ এক টুইট বার্তায় সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, "এটা সবরকম সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পুরো দায়িত্ব নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। 24 ঘণ্টার মধ্যে কোরোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত না হলে লকডাউন মেনে যেকোনো প্রতিবাদে শামিল হতে বাধ্য হবে CPI(M) । নাইসেডে পরীক্ষা বাড়াতে হবে।"যথাযথভাবে পরীক্ষা হলে বোঝা যাবে এরাজ্যে কত মানুষ কোরোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তর এবং মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসেবে পৃথক তথ্য উঠে আসছে। সূর্যকান্ত মিশ্রের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হটস্পট ঘোষণা করলেও সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে এখনও পর্যন্ত কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। উপরন্তু নিয়মিত তথ্য গোপন করা হচ্ছে কোরোনা ভাইরাস সম্পর্কিত। কোরোনা সংক্রমণ রোগে মৃত্যু হলে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে অন্য কোনও রোগকে।
বছরের প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি CPI(M) রাজ্য সম্পাদকের
আজ এক টুইট বার্তায় সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, "এটা সবরকম সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পুরো দায়িত্ব নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। 24 ঘণ্টার মধ্যে কোরোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত না হলে লকডাউন মেনে যেকোনো প্রতিবাদে শামিল হতে বাধ্য হবে CPI(M) । নাইসেডে পরীক্ষা বাড়াতে হবে।"যথাযথভাবে পরীক্ষা হলে বোঝা যাবে এরাজ্যে কত মানুষ কোরোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তর এবং মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসেবে পৃথক তথ্য উঠে আসছে।
কোরোনা আক্রান্ত রোগীর যেমন চিকিৎসা হচ্ছে না, তেমনি অন্যান্য রোগীরও চিকিৎসাব্যবস্থা পুরো স্তব্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কোরোনা আক্রান্তের চিকিৎসাও।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার সরঞ্জাম এখনও পর্যাপ্ত নয়। রাজ্য সরকার কোরোনা ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে। সেই টাকা কোথায় খরচ করা হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে CPI(M) রাজ্য সম্পাদক। তাঁর দাবি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোথায় কত ত্রাণ তিনি বন্টন করেছেন? তাঁর দাবি, প্রকৃত তথ্য গোপন করে রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলছে রাজ্য সরকার। প্রকৃত তথ্য মানুষের সামনে আসলে আরও বেশি সতর্ক হতে পারত রাজ্যের মানুষ ।