কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। গতকাল নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ তুলেছিল প্রায় সবকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু বিরোধীদের এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের মনে সেভাবে যে দাগ কাটতে পারেনি, তা বুঝিয়ে দিল কমিশন। আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, শেষ এক বছরে সেই ধরনের বড় কোনও অশান্তি এ রাজ্যে ঘটেনি। সুনীল অরোরার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোর্খাল্যান্ডের অশান্তি, ইতিউতি গোষ্ঠী সংঘর্ষ, পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তি। আজ নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠেছিল এইসব প্রশ্নই। জানতে চাওয়া হয়েছিল বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে কী ভাবছে কমিশন। উত্তর আসে, "গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন গত একবছর ধরে স্তিমিত। যেসব এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হচ্ছে তা নিয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে প্রশাসনের।" দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই কথা উৎসাহ জুগিয়েছে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, শান্ত রয়েছে পাহাড়। হাসছে দার্জিলিং। আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মুখে শোনা গেল প্রায় একই রকম কথা।
পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তুলেছিল একগুচ্ছ অভিযোগ। BJP-র পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয় অশান্তির CD। যাতে নদিয়ায় গণনার দিন প্রকাশ্যে ছাপ্পা ভোটের ছবিও ছিল। CPI(M)-র পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয় পঞ্চায়েত ভোটে রক্তপাতের ঘটনা। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১৩ জন BJP প্রার্থী আসেন ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করতে।