পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোরোনার নামে অতিরিক্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষকে গৃহবন্দী করতে চাইছে কেন্দ্র : সূর্যকান্ত

প্রয়াত CPI(M) নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর স্মরণসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের ৷ তাঁর বক্তব্য, "কোরোনা ভাইরাসের নামে অতিরিক্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষকে গৃহবন্দী করতে চাইছে তারা ।"

ছবি
ছবি

By

Published : Aug 19, 2020, 1:37 PM IST

কলকাতা, 19 অগাস্ট : প্রয়াত CPI(M) নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর স্মরণসভায় এসে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ৷ তিনি বলেন, "হয় মানুষকে ঘরে ঢোকাও, না হলে তাদের জেলে ঢোকাও । এই নীতি নিয়েছে দেশের সরকার । কোরোনা ভাইরাসের নামে অতিরিক্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষকে গৃহবন্দী করতে চাইছে তারা ।"

CPI(M)-এর কলকাতা জেলা কমিটির অফিস প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে গতকাল সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত বাম নেতাকে ৷ বাদ যায় শুধু BJP ও তৃণমূল ৷ সেখান থেকে সূর্যবাবু বলেন, " দেশের সরকার যুক্তিবাদকে ধ্বংস করছে । দেশকে প্রায় দু'শো থেকে আড়াইশো বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে যুক্তিবাদকে ধ্বংস করতে মানুষের মনে কুসংস্কার ঢোকাচ্ছে । মিথ্যা প্রচার চলছে সোশাল মিডিয়ায় ।"

দেশের লকডাউন ইশু নিয়ে তিনি বলেন, " কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের নামে বিরোধীদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায় । ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বেরোতে হবে । পথে নেমে আন্দোলন করতে হবে । যুদ্ধ সংগ্রাম করব, অথচ ঝুঁকি নেব না । তা হয় না । যুক্তিবাদকে ভাঙার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মরিয়া । কোনও মানুষ যদি অন্য মানুষকে আকর্ষণ না করতে পারে, তাহলে সব অর্থহীন হয়ে যায় । শ্যামলদার মধ্যে সেই আকর্ষণ ছিল । যা আমাদের আকৃষ্ট করত । এই প্রতিকূল সময় শ্যামল চক্রবর্তীর মতো নেতার প্রয়োজন । কেন্দ্রীয় সরকার মানুষকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে । হয় বাড়িতে ঢোকো, না হয় জেলে ঢোকো । এটাই চাইছে কেন্দ্র । সুবিধাবাদের রাজনীতি করছে । মানুষকে প্রতিবাদ করতে না দেওয়ার জন্যই ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে । আমরা রাস্তায় নামব ।"

অন্যদিকে, ওই সভা থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন , "বর্তমান সময়ে শ্যামল চক্রবর্তীর মতো দক্ষ সংগঠকের আরও বেশি প্রয়োজন । শ্রমিকদের অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । শ্রম আইন সংশোধনের নামে শ্রমিকদের অতিরিক্ত শোষণ করার পদ্ধতি নিয়েছে দেশের সরকার । তাই এই সময় যুক্ত সংগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি বেড়েছে ৷" পুরানো রাজনৈতিক স্মৃতি উসকে দিয়ে তিনি জানান, "তখন ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল মালদা ৷ সেই সময়ে আমার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় শ্যামলের ৷ সেদিন শ্যামল চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী । দমদমের মতিঝিল কলেজ থেকে ছাত্র সম্মেলনের প্রতিনিধিত্ব করতে গেছিলেন তাঁরা । আমি গেছিলাম কলকাতার একটি কলেজ থেকে । সেখানেই প্রথম আলাপ দু'জনের সঙ্গে । শ্যামল চক্রবর্তীর পরামর্শ মতো এক সময় গোটা রাজ্যে ছাত্র আন্দোলন এবং পার্টির আন্দোলন হয়েছে ৷ "

ABOUT THE AUTHOR

...view details