কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: গত 19 ডিসেম্বরের কলকাতা পৌরভোটের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ ও ইভিএম সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court orders to preserve EVM and cctv footage of KMC Election) ৷ পাশাপাশি, ভোটের দিন প্রত্যেক বুথে যে সমস্ত অফিসার ছিলেন তাঁদের ডায়েরি-সহ অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷
শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আগামিদিনে যে পৌরসভা নির্বাচন হবে সেখানে সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ক্যামেরাগুলি যেন সঠিক জায়গায় বসানো হয় তা খেয়াল রাখতে হবে এবং সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে ৷ কলকাতার ভোটে ব্যাপক রিগিং, বুথ দখল, মৃত ব্যক্তিদের নামে ভোটদান-সহ একাধিক অভিযোগ এসেছে ৷ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট পরবর্তী ভোটগুলিতে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কমিশনকে এই নির্দেশ দিল বলে মনে করা হচ্ছ ৷
আরও পড়ুন : কলকাতার উন্নয়নে মমতার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব, আশ্বাস ফিরহাদের
কলকাতা পৌরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা হয়েছে এবং সেই মামলায় সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পৌরনির্বাচন বাতিলেরও দাবি জানানো হয়েছে ৷ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে এই বিষয়ে ভারতীয় সংবিধানের 243 নম্বর ধারার কথা মাথায় রেখে এবং এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে হাইকোর্ট ।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল, রাজ্যে বকেয়া পৌরসভার ভোট দু'দফায় সম্পন্ন করে ফেলতে চায় তারা । প্রথম দফায় নতুন বছরের 22 জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও হাওড়ায় পৌরভোট এবং 27 ফেব্রুয়ারি বাকি সমস্ত পৌরসভার ভোট সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন ৷ পাশাপাশি, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে বালিকে পৃথক করার বিলে রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছেন । ফলে হাওড়া ও বালিতে আলাদা পৌরভোট করায় আর কোনও সমস্যা নেই ।
পরবর্তী পৌরভোটগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের দাবি সংক্রান্ত বিষয়ে, সঠিক সময়ে (নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর) যথাযথ তথ্য প্রমাণ-সহ আবেদন জানানোর নির্দেশও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দিয়েছে ।