কেরালা ও ওড়িশার মডেলে বাস ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন
কেরালা ও ওড়িশার বেসরকারি বাস ভাড়ার মডেলে রাজ্যে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিল বাস মালিক সংগঠনগুলি ৷ ক্রমবর্ধমান ডিজ়েলের দাম ৷ তারসঙ্গে যুক্ত হয়েছে কম যাত্রী সংখ্যা ৷ বাস চালাতে হিমসিম খাচ্ছে বাস মালিকেরা ৷ সেজন্য বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিল বাস মালিক সংগঠন।
কলকাতা, 6 অগাস্ট : কেরালা ও ওড়িশার বেসরকারি বাস ভাড়ার মডেলে রাজ্যের বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিল বাস মালিক সংগঠন। ডিজ়েলের চড়া দাম সঙ্গে অপ্রতুল যাত্রী নিয়ে পুরোনো ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে বারেবারে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। দফায় দফায় চিঠি ও ডেপুটেশনও জমা পড়েছে। পরিবহন দপ্তরে সাথে বিভিন্ন সময় বাস মালিকদের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। গঠন করা হয়েছে এক্সপোর্ট কমিটি। তবে এখনও ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে কোনও রকম সুরাহা সূত্র মেলেনি। তাই এবার কেরালার ধাঁচে বেসরকারি বাস ভাড়া বাড়াবার প্রস্তাব নিয়ে একটি চিঠি জমা দিল সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিস।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, "1 জুলাই থেকে কেরালা সরকার বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়িয়েছে ৷ তাই তাদের মডেল অনুসরণ করে আমরা পরিবহন দপ্তরের কাছে এই রাজ্যে বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়াবার প্রস্তাব জানিয়েছি। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যর মতো একবছর রোড ট্যাক্স মকুব করার আর্জি জানিয়েছি এবং সমস্ত পুলিশ কেশ মকুব করার আবেদন করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন যে, "ইতিমধ্যেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় 13 টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে স্বাভাবিক সময় যেখানে যাত্রী সংখ্যা হয় প্রায় 800 সেখানে বর্তমানে 280 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে। উপরন্ত মালিককে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হচ্ছে। এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মালিকরা বাস চালাচ্ছেন। কারণ এমনিতেই লকডাউনের জেরে উপার্জনহীন হয়ে সংসার টানতে বহু বাসকর্মী শাক-সবজি থেকে শুরু করে মুড়ি বিক্রি করছে। তাই যাতে আবার তাদের সেখানেই ফিরে যেতে না হয় তাই আমরা মালিকপক্ষ শত কষ্ট হলেও বাস চালাচ্ছি। অন্যদিকে বাসগুলি বেশিদিন বসিয়ে রাখলে নানান যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তাই আমরা অনন্যোপায় হয়ে পরিবহন সচিবের কাছে এই দাবিগুলি রেখে চিঠি জমা দিয়েছি।"
অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, "আমরাও বিভিন্ন সময় পরিবহনমন্ত্রী, পরিবহন সচিব সহ কেন্দ্র সরকারের কাছে আমাদের দাবি দাওয়াগুলি তুলে ধরেছি। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বাস চালানো সত্যিই দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তবুও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব বলে এই পরিষেবা চালিয়ে চলেছি। তাই আমাদের দাবিগুলোকে অবিলম্বে বিবেচনা করে তার একটা সুরাহা বার করতে হবে। অনেক দেরি হয়েছে আর দেরি নয়। অবিলম্বে ট্যাক্স, পারমিট, সিএফ, ভাড়া বৃদ্ধি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।"