কলকাতা, 26 জানুয়ারি : দলের অন্দরের বিদ্রোহ নিয়ে সতর্ক ভারতীয় জনতা পার্টি (Inner Conflict in Bengal BJP) ৷ রাজ্য কমিটি নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যাতে জেলায় জেলায় না হয়, আপাতত সেই দিকেই নজর গেরুয়া শিবিরের ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গে জেলা কমিটি তৈরিতে আদি ও নব্য বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Bengal BJP on District Committees) ৷
আর এই নির্দেশ এসেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ৷ এমনকী, জেলা কমিটি তৈরিতে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ বিজেপির একটি সূত্র থেকে ওই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে নারাজ ৷
ইতিমধ্যেই 42টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে দশটি জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির তরফে ৷ আগামী সাতদিনের মধ্যে ধাপে ধাপে বাকি সাংগঠনিক জেলার কমিটিও ঘোষণা করা হবে ৷
বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটি তৈরির পর যে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, সেটা যেন জেলাতেও কোনওমতে না হয়, সেই দিকটা বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তাই জেলাতেও কমিটি তৈরিতে আগে সেই তালিকা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সেই নির্দেশ মেনেই ধাপে ধাপে কমিটি ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, শান্তনু ঠাকুরের ক্ষোভ থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে । তাই জেলা কমিটি তৈরিতে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ও বিজেপির সাংসদের মতামত নিতে বলা হয়েছে ৷ এছাড়া অধিকাংশ জেলাতেই দু’জনের বদলে চারজনকে জনকে সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bengal BJP President Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘জেলা কমিটির ডেটলাইন নেই । কিন্তু আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল ৷ কিন্তু করোনা এবং ওমিক্রনের কারণে আমরা দশ দিন পিছিয়ে গিয়েছি । আমাদের একে একে সব হচ্ছে এখন । এর মধ্যে কাউকে কোনও বার্তা দেওয়ার নেই । যা হওয়ার তাই হচ্ছে । অনুগামী বলে কিছু হয় না । দিলীপ ঘোষ সভাপতি ছিলেন, আমরা সবাই তাঁর অনুগামী ছিলাম । এখন আমি সভাপতি । সবাই বিজেপির অনুগামী, পতাকার অনুগামী। মেনে নিতে হবে এটা ৷’’
আরও পড়ুন :Jayprakash Praises Mamata : তৃণমূলকে মেসির দলের সঙ্গে তুলনা করে মমতার প্রশংসায় জয়প্রকাশ