কলকাতা, 7 মার্চ: ব্রিগেডের সভামঞ্চে অতীতের তিক্ততা ভুললেন ব্য়ারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ৷ এতদিন যে দীনেশ ত্রিবেদী সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল কার্যত সাপে-নেউলে, রবিবার সেই দীনেশকেই "বড় ভাই" বলে সম্বোধন করলেন অর্জুন ৷
অর্জুন সিং এবং দীনেশ ত্রিবেদী ৷ একটা সময় দু’জনেই ছিলেন ‘দিদির সৈনিক’ ৷ রাজ্য়ে পালাবদলের আগেই 2009 সালে তৃণমূলের টিকিটে ব্য়ারাকপুরের লোকসভা আসনে জেতেন দীনেশ ৷ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় তখন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ৷ দু’হাজার এগারোয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর সেই দায়িত্ব দীনেশের উপরেই ছাড়েন মমতা ৷ দীনেশ যে দলনেত্রীর ভরসার পাত্র ছিলেন, তা এ থেকেই স্পষ্ট ৷ কিন্তু রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সেই দলনেত্রীর সঙ্গেই বিবাদে জড়ান দীনেশ ৷ রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে তৈরি হয় মতপার্থক্য ৷ যার জেরে রেলমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় দীনেশকে ৷ সেই দায়িত্ব বর্তায় মমতার সেই সময়কার আর এক ‘ভরসার মানুষ’ মুকুল রায়ের উপর ৷ তবে এতকিছুর পরও তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য ভোলেননি দীনেশ ৷ যার ফলও মেলে হাতে নাতে ৷ দু’হাজার নয়ের পর দু’হাজার চোদ্দতেও ব্য়ারাকপুর থেকে দলের টিকিট পান তিনি ৷ জিতে সাংসদ হন দ্বিতীয় বারের জন্য ৷
এরপর আসে উনিশের লোকসভা ভোট ৷ ব্য়ারাকপুর আসন নিয়ে বিবাদ শুরু হয় তৃণমূলের অন্দরে ৷ সূত্রের খবর, 2019 সালে ব্য়ারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন অর্জুন ৷ কিন্তু মমতা আস্থা রাখেন দীনেশেই ৷ অবস্থা বুঝে শিবির বদলান অর্জুন সিং ৷ যোগ দেন বিজেপিতে ৷ গেরুয়া টিকিট হাতে নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েন ভোটের ময়দানে ৷ ফল যায় তাঁর অনুকূলেই ৷ দু’বারের সাংসদকে হারিয়ে ব্য়ারাকপুরে পদ্ম ফোটান অর্জুন ৷