কলকাতা, 12 জুলাই : আগামী ছ'মাসের কর ও জরিমানা মকুবের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হল অ্যাপ ক্যাব সংগঠিনগুলি । এই বিষয় সংগঠনের তরফে চিঠিও জমা দেওয়া হয় ।
একদিকে রাজ্যের কন্টেইনমেন্ট জ়োনগুলিতে আবার শুরু হয়েছে লকডাউন ৷ অন্যদিকে জ্বালানি তেলের আকাশছোঁয়া দাম । এর ফলে অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে অ্যাপ ক্যাব চালক ও মালিকরা । এভাবে গাড়ি চালানো অসম্ভব বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে যুক্ত থাকা হাজার হাজার কর্মী ও তাঁদের পরিবার আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলি কিস্তির টাকার জন্য লাগাতার মালিকদের চাপ দিচ্ছে । অগ্নিমূল্য ডিজ়েল ৷ কিন্তু, যাত্রী নেই বললেই চলে । একেবারে হাত ফাঁকা আমাদের । তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়ে আমাদের দাবিগুলি জানিয়েছি । দাবিগুলি হল লকডাউনের সময় যাঁরা কর দিতে পারেননি তাঁদের ক্ষেত্রে কর ও জরিমানার টাকা মকুব করা হোক । পাশাপাশি অন্য বকেয়া করগুলি জমা করার ক্ষেত্রে বাড়তি সময়সীমা দেওয়া হোক ।"
6 মাস কর ও জরিমানা মকুবের আর্জি অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের
"অগ্নিমূল্য ডিজ়েল ৷ কিন্তু যাত্রী নেই বললেই চলে । একেবারে হাত ফাঁকা আমাদের । লকডাউনের সময় যাঁরা কর দিতে পারেননি তাঁদের ক্ষেত্রে কর ও জরিমানার টাকা মকুব করা হোক ।" বলছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ৷
মার্চ মাস থেকে লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন গাড়ি চলেনি । লকডাউনের মধ্যেই বহু মালিক তাঁদের গাড়ির রোডট্যাক্স, EMI, গাড়ির বীমা এবং কর মকুব-সহ আরও বেশ কয়েকটি কর জমা করতে পারেনি।
অ্যাপ ক্যাব চালক শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউনের কারণে গত চার মাস গাড়ি চালানো বন্ধ ছিল । এখন গাড়ি চালানো শুরু হলেও কোন রোজগার নেই বললেই চলে । উপার্জন হচ্ছে না বলে গাড়ির কর ও বিভিন্ন ফি জমা করতে পারিনি । আমরা আগে জেনেছিলাম, যে সারাদেশের আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সকল প্রকার গাড়ির কর, অন্যান্য ফি ও জরিমানা লাগবে না । তবে হঠাৎ করে 1 জুলাই থেকে করের উপর জরিমানা চালু হয়ে যায় । এই জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না ।"
গাড়ির বিভিন্ন কর জমার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের মেয়াদও বাড়ানোর আবেদনও করেন ইন্দ্রনীলবাবু।