কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : গোরু পাচার রোধে এবার মাঠে নামল CBI । পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের নানা জায়গায় CBI-র বেশ কয়েকটি দল তল্লাশি চালাল । কলকাতা, সল্টলেক, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে বলে CBI সূত্রে খবর । তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে BSF-র কর্তাও ।
সীমান্তে গোরু পাচার রোধে সক্রিয় হয়েছে CBI । উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি গোরু । কিন্তু এই অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি । সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে গোরু পাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিল CBI । কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ইমানুল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল CBI । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোরু পাচারকারী এবং BSF-র যোগসূত্রের খবর পাওয়া যায় । ঘটনায় ম্যাথিউ নামে এক BSF কমান্ডান্টকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিশ ।
সেই সূত্রে সল্টলেক সিটি সেন্টার 2-এর পাশে BSF-র কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে CBI । সতীশ কুমার অবশ্য এখন পশ্চিমবঙ্গে নেই । তিনি এখন কর্নাটকে পোস্টেড । তবে তিনি একটা সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত ছিলেন । সেই সময় গোরু পাচার চক্রকে মদত দিতেন বলে অভিযোগ । সল্টলেক সিটি সেন্টার টু এর পাশে BJ-59 নম্বর বাড়িটি সতীশ কুমারের । সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে CBI সূত্রে জানা গেছে ।
আজ কলকাতার তপসিয়া, সল্টলেক, উত্তর 24 পরগনার রাজারহাট, কামদুনি, মুর্শিদাবাদের লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, শিলিগুড়ি-সহ ষোলটি জায়গায় CBI তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গেছে । পাশাপাশি তল্লাশি হয়েছে রায়পুর, গাজিয়াবাদেও । আগে গ্রেপ্তার হওয়া ইমানুল হক আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছিল । তারপর থেকে আবার সে গোরু পাচারে সক্রিয় হয়েছে বলে জানতে পেরেছে CBI । তার খোঁজ চলছে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোরু পাচারের কোনও প্রভাবশালী চক্র জড়িত আছে কি না ।