কলকাতা, 26জুন : পঞ্চম দফার লকডাউনে অধিকাংশক্ষেত্রেই নিয়ম শিথিল করা হলেও পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি। অধিকাংশব্যাঙ্ককর্মী রেলপথে যাতায়াত করায় তাদের মধ্যে সিংহভাগ কর্মীই কাজে যোগ দিতেপারছেন না,যারাআসছেন তাদের নিত্যদিন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে আজ অলইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ককর্মীদের ট্রেনে ওঠারঅনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হল।
ব্যাঙ্ক কর্মী ট্রেনে উঠতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
অধিকাংশ ব্যাঙ্ক কর্মচারী রেলপথে যাতায়াত করায় লকডাউনে সমস্যার মুখে পড়ছেন। নিত্যযাত্রীদের জন্য এখনও রেল পরিষেবা চালু না হওয়ায়, আপাতত কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের ট্রেনে ওঠার অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন।
ব্যাঙ্ক কর্মী ট্রেনে উঠতে দেওয়ার আবেদনজানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
রাজ্যেট্রেন চলাচল করলেও তাতে নিত্যযাত্রীদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। চালু হয়নি লোকাল ট্রেনও।এদিকে,অর্থনীতিসচল রাখতে লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই নিয়মিত কাজ করছেন ব্যাঙ্ক অফিসার এবংকর্মচারীরা। জনধন যোজনা খাতার মাধ্যমে গত তিন মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণযোজনার500টাকাদেয়া হচ্ছে রাজ্যের বহু মানুষকে। ক্ষুদ্র,কুটির এবং মাঝারি শিল্পের জন্যবিভিন্ন বাণিজ্যিক ঋণ দেওয়ার কাজও করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকমভাবেইপরিষেবায় বিঘ্ন ঘটানো যাবে না বলে মনে করেন অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্সকনফেডারেশনের সদস্যরা। তাই পুরনো কর্মীসংখ্যা ফেরাতে ট্রেনে ওঠার অনুরোধ জানানতারা।
আজসংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন,আমফান পীড়িত মানুষদের সরকারের তরফে যে20হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে,তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যাঙ্ককর্মীদের বাড়ি থেকে অফিসে আসার জন্য উপযুক্ত পরিবহনেরপ্রয়োজন। পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বিশেষ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়,বহু কর্মী কাজে যোগ দিতে পারছেন না।কয়েকজন কর্মী গাড়ি চালিয়ে কাজে আসতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে,ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের ট্রেনে ওঠার জন্যঅনুমতি দেওয়া হোক। তাহলে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হবে।
তিনিআরও বলেন,বিভিন্নডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার,যা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারCOVID-19এবংআমফান পীড়িত মানুষদের জন্য ঘোষণা করেছেন,তার সমস্ত কাজই ব্যাঙ্কের মাধ্যমেহচ্ছে। বর্তমানে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন30জুনের মধ্যে20লক্ষ কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে,সেই কাজটিও ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই হবে।এরজন্য ব্যাঙ্কের অফিসারদের নিয়মিত অফিসে আসতে হচ্ছে। যানবাহন অপ্রতুল থাকায়প্রতিদিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন । এই বিষয়ে শিয়ালদহ ও হাওড়া রেলওয়ের দুজনঅধিকর্তা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্য সচিবকে চিঠিদিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে ।