কালনা, 29 অগাস্ট : ভাইকে পিটিয়ে খুন ৷ এরপর মৃতদেহ লোপাটের জন্য পোড়ানোর চেষ্টা ৷ দোষী সাব্যস্ত দু'জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল কালনা মহকুমা আদালত ৷ পুলিশ, চিকিৎসক-সহ 18 জনের সাক্ষ্যদান ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই সাজা দেয় আদালত।
কালনায় ভাইকে খুনে যাবজ্জীবন 2 ব্যক্তির - কালনায় ভাইকে খুনের যাবজ্জীবন
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুই ভাই মদ্যপ অবস্থায় ছিল ৷ তাদের মধ্যে জমি-জায়গা নিয়ে অশান্তি চলছিল । মামলার সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, ভাইকে সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করে দুই দাদা মিলে খুন করে।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, 2018 সালের 19 অক্টোবর রাতে বিকাশ সর্দারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি চলছিল । সেই সময় বিকাশকে তাঁর দুই দাদা অশোক ও তাপস বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে । ঘটনায় বিকাশ সর্দারের (27) মৃত্যু হয় । খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে দেখে উঠোনে আধপোড়া বিকাশের দেহ পড়ে আছে । মৃতের স্ত্রী সোনালি সর্দার পুলিশকে জানান, বিকাশ তাঁদের ছোটো ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন ৷ ফেরার পর তাঁর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় । সেই অশান্তি থামাতে পাশের বাড়ি থেকে বড় ভাসুর অশোক আসে । তার সঙ্গে বিকাশের তর্ক শুরু হয় । তখন অশোক তার মেজভাই তাপসকে ডেকে আনে । দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিকাশের ঝামেলা শুরু হয় । সেই সময় অশোক ও তাপস মিলে বাঁশ দিয়ে বিকাশকে মারধর করে । সোনালি বাঁচাতে গেলে তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেয় ৷ দুই দাদা বিকাশকে পেটাতে থাকে । প্রচণ্ড মারের চোটে বিকাশের মৃত্যু হয় । সোনালির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অশোক ও তাপস সর্দারকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুই ভাই মদ্যপ অবস্থায় ছিল ৷ তাদের মধ্যে জমি জায়গা নিয়ে সাংসারিক অশান্তি চলছিল। পুলিশ, চিকিৎসকসহ 18 জনের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে দুজনকে দোষীসাব্যস্ত করা হয় । মামলার সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, ভাইকে সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করে দুই দাদা মিলে খুন করেছিল । দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত ।