কেতুগ্রাম, 3 নভেম্বর : কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চলের খাটুন্দি গ্রামে এক যুবতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃত যুবতির নাম সন্ধ্যা মাঝি (24) । যুবতির মৃত্যুর পর দেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।
সন্ধ্যার বাড়ির অভিযোগ, যুবতির স্বামী রবিন মাঝি হরিয়ানায় একটি কারখানায় কাজ করেন । সেখানে অন্য সম্পর্ক রয়েছে তাঁর । সন্ধ্যা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। এই কারণেই সন্ধ্যাকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এই ঘটনায় বধুর স্বামী রবীন মাঝি,তাঁর ছোটো ভাই ছোটন ও অরবিন্দ মাঝি নামে এক আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
সন্ধ্যার আত্মীয়া বুলটি মল্লিকের অভিযোগ, ''আমার ননদ জানতে পারে হরিয়ানাতেও রবিনের সংসার রয়েছে । ননদ যখনই ফোন করত, তখন একটি বাচ্চা ফোন ধরত । হিন্দিতে বলত বাবার ফোন এসেছে । এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আমার ননদকে খুনের হুমকি দিত রবীন । পাশাপাশি এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বললে উলটে তাঁরা আমার ননদের উপর অত্যাচার করত ।''
পরিবার সূত্রে খবর, কালীপুজোর দিন চরকি গ্রামে যান রবীন । সন্ধ্যাদেবী ভাইফোঁটার দেওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান । সন্ধ্যাকে মারধর করা হলে ফের তিনি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চরকি গ্রামে ফিরে আসেন । গত বুধবার সন্ধ্যাদেবীর বাপেরবাড়ির লোকজন তাঁকে খাটুন্দি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে আসে । কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি চরকি গ্রামে খবর দেয় সন্ধ্যাকে পিটিয়ে মেরে কাটোয়া হাসপাতালে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।
শনিবার সকালে হাসপাতালে সন্ধ্যাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পূর্ব বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেন, মৌখিকভাবে পরিবার অভিযোগ করেছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷