আসানসোল, 21 মে : নির্দিষ্ট সময়ের পরেও রেড ভলান্টিয়ারদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে । পৌরনিগমের অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়িতে রেখে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে । অভিযোগ, রেড ভলান্টিয়াররা অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত চাইতে গেলে ফেসবুক লাইভ করে ওই পরিবারের সদস্য এক তরুণী ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে হুজ্জুতি করেন । সেই লাইভ বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে রেড ভলান্টিয়ারদের বদনাম করার চেষ্টা চলে বলেও অভিযোগ । সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রেড ভলান্টিয়াররা ।
আসানসোলের মহিশীলা কলোনির বাসিন্দা সৌমিতা চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তাঁর বাবার অক্সিজেন প্রয়োজন । জানতে পেরে রেড ভলান্টিয়াররা পাশে দাঁড়ান । জাম্বো সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয় গত 16 মে । জানানো হয়, চার দিনের জন্য ওই সিলিন্ডার দেওয়া হল আপৎকালীন বিপদ মেটাতে । প্রয়োজনে এর পর হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে রোগীকে । সেই ব্যবস্থাও রেড ভলান্টিয়াররা করবে । চার দিন ফুরোনোয় গতকাল অক্সিজেন সিলিন্ডারটি ফেরত আনতে যান রেড ভলান্টিয়ার শ্রেয়া ঘোষ, সমর্পণ দাশগুপ্ত, বিনীত চক্রবর্তী । সিলিণ্ডার ফেরত চান তাঁরা । অভিযোগ, এতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন রোগীর কন্যা সৌমিতা । মোবাইল খুলে ফেসবুক লাইভ করে সিলিন্ডার ছিনিয়ে নিতে এসেছে বলে দোষারোপ করতে থাকেন রেড ভলান্টিয়ারদের । যদিও ভলান্টিয়াররা বোঝান, ওই সিলিন্ডার অন্য রোগীর কাজে লাগবে । তাই ফেরত চাইছেন । কিন্তু সৌমিতার দাবি, বাবার অক্সিজেন খোলা যাবে না । সেই সময় রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক পুলস্থ্য আচার্য । তিনি জানান, অক্সিজেন তো চিকিৎসা নয় । যদি অক্সিজেন খুলে দেওয়ার পর রোগীর নব্বইয়ে নীচে অক্সিজেন স্যাচুরেশন থাকে তাহলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করুন । বাড়িতে অক্সিজেন দিলে রোগী ভালো হবেন না । এটা আপৎকালীন ব্যবস্থা । পুলস্থ্যবাবুর দাবি, অক্সিজেন খুলেও রোগীর 95-এর উপর স্যাচুরেশন ছিল । কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মানেননি রোগীর পরিবার । বরং আত্মীয়দের ডেকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হয় । রেড ভলান্টিয়ার বিনীত চক্রবর্তীর গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ । যদিও সৌমিতা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, "জোর করে অক্সিজেন খুলে নিতে এসেছিল রেড ভলান্টিয়াররা । আমরা বাধা দিয়েছি । কারণ বাবা অক্সিজেন ছাড়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন । "