আসানসোল, 18 জানুয়ারি :আসানসোলের কিশোর কুমার ৷ এই নামেই পরিচিত তিনি ৷ইটিভি ভারতেই প্রথম উঠে এসেছিল দুর্গা রানার দুর্দশার কথা। একসময়ের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী বর্তমানে উপার্জনহীন। ছোট্ট এক চিলতে ভাঙা ঘরে তাঁর বসবাস ৷ পাশাপাশি তাঁর পায়ে ফাইলেরিয়ার সংক্রমণ। দুর্গা রানার দুর্দশার কথা জেনে রাতারাতি আসানসোলের তৎকালীন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি দুর্গা রানার বাড়ি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দুর্গা রানার বাড়িতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বাড়ি তৈরির কাজের সূচনা করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বাড়ির সামনে ছোট্ট ম্যারাপ বেঁধে দুর্গা রানাকে পুনরায় মঞ্চে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠানও হয়েছিল।
কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসক পদ ছেড়ে দিতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুর্গা রানার বাড়ি তৈরির কাজ। শুধু বন্ধ হওয়াই নয়। নতুন বাড়ি তৈরির জন্য তাঁর পুরানো বাড়ির একটি ঘরকেও ভেঙে ফেলা হয়। যার ফলে একটি মাত্র ঘরে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বাড়ির জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে উঠোনেই।
আটকে গেছে বাড়ি নির্মাণ, "রাজনীতি" বোঝেন না আসানসোলের কিশোর কুমার এই সংক্রান্ত খবর : "নিরাশায় ডুবে যাওয়া এই নিরালায়...", অসহায় অবস্থা আসানসোলের কিশোর কুমারের
দুর্গা রানা বললেন, "আমি রাজনীতি বুঝি না। জিতেন্দ্র তিওয়ারি আমার বাড়িতে এসে বাড়ি তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন। আমার পুরানো বাড়িটিও ভেঙে ফেলা হল। কিন্তু কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে গেল। যেটুকু আমার ছিল সেটাও চলে গেল। আমি তাই বর্তমান প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করব যে যত দ্রুত সম্ভব আমার বাড়ি থেকে তৈরি করে দিন।"
দুর্গা রানার স্ত্রী বীণা রানা বলেন, "খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি আমরা। একটি মাত্র ঘরের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। যে ঘরটি ভেঙে দেওয়া হল সেই ঘরের ভেতরে জিনিসপত্র সব বাইরে পড়ে রয়েছে। ঘর তৈরির জন্য ইট এসেছিল, বালি এসেছিল। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি পৌরনিগম ছেড়ে দেওয়ার পর সেই ইটও তুলে নিতে চলে এসেছিল লোকজনেরা। আমি বাধা দিয়ে আটকে রেখেছি।"
এই সংক্রান্ত খবর : ETV ভারতের খবরের জের, আগামীকাল থেকেই বাড়ি সংস্কার আসানসোলের কিশোর কুমারের
আসানসোল পৌরনিগমের বর্তমান মুখ্য প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "যদি ঘর তৈরির কাগজপত্র হয়েছিল এবং পৌরনিগম এই কাজ যদি করছিল তাহলে নিশ্চয় হবে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নিশ্চিন্ত থাকুন, কেউ বাস্তুহারা হবেন না।"