জলের তোড়ে ভাঙল বাঁকুড়ার সতীঘাট-কেশিয়াকোলের অস্থায়ী সেতু - বাঁকুড়াবাসী
গন্ধেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে সতীঘাট থেকে কেশিয়াকোলে যাওয়ার অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে পড়ল আজ। অন্য কোনও রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগে বাঁকুড়াবাসী।
জলের তোড়ে ভাঙল বাঁকুড়ার সতীঘাট-কেশিয়াকোলেরঅস্থায়ী সেতু
বাঁকুড়া,7জুলাই : বাঁকুড়ারসতীঘাট থেকে কেশিয়াকোলে যাওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করেছিল জেলাপ্রশাসন। আজ বেলারদিকে গন্ধেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে সেটি ভেঙে যায়। যদিও এইরাস্তাটি দিয়ে কোনও ভারী যান চলাচলের অনুমতি ছিল না। শুধুমাত্র চলাচল করতমোটরবাইক এবং ছোট গাড়ি । এই ঘটনার ফলে শহরের দুই পাড়ে বসবাসকারী কয়েক হাজারমানুষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়লেন।
2018সালে বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট ব্রিজটি ভেঙে পড়েপ্রবল বন্যায়। ফলে শহরের সতীঘাট থেকে বিকনা,হেভী মোড়,কেশিয়াকোল সমেতবাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শহরের এপারেরমানুষজনের। প্রায়4কিলোমিটার দূরে60নম্বর জাতীয় সড়কেরউপর তৈরি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল স্থানীয় মানুষদের। এরপর ভেঙে পড়াব্রিজটির জায়গায় নতুন করে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এরই মাঝে সতীঘাট থেকেকেশিয়াকোলে যাওয়ার জন্য নদীর বুক চিরে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়প্রশাসনের তরফে। রাস্তাটির মাঝখানে নদীগর্ভে একটি কজওয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যতদিননা পর্যন্ত স্থায়ী ব্রিজটি তৈরি হচ্ছে,নদীর দুই পাড়ের লোকএই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করত।
সতীঘাট এর স্থায়ীব্রিজটি ভেঙে পড়ার পরই ম্যাকিনটোশ বার্ণ নামের একটি বহুজাতিক সংস্থাকে বরাতদেওয়া হয় স্থায়ী ব্রিজ তৈরি করার। প্রায় দু বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনওপর্যন্ত ব্রিজের কাজ সেভাবে না এগোনোয় ক্ষুব্ধ বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দারা। তারউপর,আজ অস্থায়ী রাস্তাটিও ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে বাঁকুড়াবাসী।