পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

"চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন পিছিয়ে যাচ্ছে কেন?" - election

জলপাইগুড়িতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। দু'জনেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন।

সোমেন মিত্র

By

Published : Apr 6, 2019, 10:47 PM IST

জলপাইগুড়ি, ৬ এপ্রিল: "নির্বাচন কমিশন গতরাতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে বদলি করেছে। এদের বদলি করে লাভ নেই। কারণ তাঁরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন তিন মাসের। তারপর তিনিই থাকবেন।" আজ সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র।

তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসন দু'টোই দলদাসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গত রাতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বদলি করেছে। এদের বদলি করে লাভ নেই। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তিনমাসের। তারপর তিনিই থাকবেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে পর তা প্রমাণ হয়ে গেছে যে তিনিই শেষ কথা। অন্যদিকে ভোটকর্মীরা রাস্তায় নেমে আধাসামরিক বাহিনীর দাবিতে অবস্থান করছেন।"
পাশাপাশি জেলাশাসকরা ঠিকমত কাজ করছে না বলে অভিযোগ সোমেনবাবুর। সব বুথে আধাসামরিক বাহিনী দেওয়ার দাবিতে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান।

আজ সাংবাদিক সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। রাজ্যসরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন পিছিয়ে যাচ্ছে কেন? কোন চাপের কাছে নির্বাচন কমিশন মাথা নিচু করছে? আট তারিখ নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইব। বিভিন্ন জেলাশাসকরা খুবই খারাপ ব্যবহার করছেন। মালদা, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের জেলাশাসকরা খুবই খারাপ ব্যবহার করেছেন।" এমন কী সোমেনবাবু কোচবিহারের বক্তৃতা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে জেলাশাসক খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, "বক্তৃতার দিন কোচবিহারের জেলাশাসক সোমেনবাবুকে জানিয়েছিলেন তিনি দু'ঘণ্টার বেশি সেখানে থাকতে পারবেন না। কী অধিকারে জেলাশাসক সোমেনবাবুকে একথা বললেন? আমি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি ওই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। প্রশাসনের এই চেহারা হলে আমরা কী আশা করব? নির্বাচন কমিশনকে শুধু আশ্বাস দিলে চলবে না। নির্বাচন কমিশনের যে সব প্রতিনিধি এখানে আছেন তাঁদের গ্রামেগঞ্জে ঘুরতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন কমিশন বলছে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে সেটা হবে না তাই চারজন পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে শুধু আশ্বাস দিলে চলবে না। ঠিকমত ভোট হলে রেজাল্ট অন্যরকম হবে। পশ্চিমবঙ্গ খুবই স্পর্শকাতর। ১০০ শতাংশ বুথে আধাসামরিক বাহিনীই আমাদের চাই।"

সোমেনবাবু বলেন, "মানুষের নিরাপত্তা নেই রাজ্যে। তাহলে ভোট হবে কী করে?" তৃণমূল ও BJP প্রার্থীদের মধ্যে যোগসাজশ আছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

ABOUT THE AUTHOR

...view details