পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

গৌতম দেবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগ BJP নেতার বিরুদ্ধে

সুমনবাবু দীর্ঘদিন একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার কাজ করেছেন। সেই সুবাদে তাঁকে সেই সময় ওই গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। কিন্তু, পরে তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন । তারপরও কেন তিনি গ্রুপে থাকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

Information leak from what's app group, bjp, tmc
Information leak from what's app group, bjp, tmc

By

Published : Jul 11, 2020, 4:41 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 10 জুলাই : রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে রাজনৈতিক তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠল BJP-র আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে ।

2016 সালে আলিপুরদুয়ার জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ অংশু রায় এবং আদিত্য কুমার এই হোয়াসটঅ্যাপ গ্রুপটি চালু করেন। এই গ্রুপে জেলার সাংবাদিকদের মন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মসূচির খবরাখবর আদান প্রদান করা হয় । সুমনবাবু দীর্ঘদিন একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার কাজ করেছেন। সেই সুবাদেই তাঁকে সেই সময় ওই গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। কিন্তু, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিকতা ছেড়ে তিনি BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন । কিন্তু, তারপরও তিনি ওই গ্রুপে থাকায় প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল । যেমন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ''তৃণমূলের খবর যে সুমনবাবু BJP-র হাতে তুলে দিচ্ছেন না সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা আছে ?'' আবার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত ধরের অভিযোগ, ওই গ্রুপে থাকার ফলে মন্ত্রীর বিভিন্ন তথ্য সুমনবাবুর হাতে চলে আসছে । রাজ্য সরকারের গোপন তথ্যও তিনি পেয়ে যাচ্ছেন ।

এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা BJP-র সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার পালটা অভিযোগ, সুমনবাবু BJP-তে যোগাদান করেছেন সেটা সবাই জানেন। তারপরও কেন মন্ত্রীর গ্রুপ অ্যাডমিন বা সরকারি গ্রুপের অ্যাডমিন তাঁকে সেই সব গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দিলেন না। এতে সুমনবাবুর দোষ কোথায়? তিনি দলে যোগদান করার পর এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, কোন গ্রুপে আছেন কিংবা কোন গ্রুপে নেই সেটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব নয় ।

এই বিষয়ে গৌতম দেব বলেন," আমি কী করে জানব কোন সাংবাদিক BJP-তে যোগদান করেছেন ? তা আমার জানার কথা নয়। তিনি রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়ে নিজের থেকেই গ্রুপ থেকে লেফট করে যেতে পারতেন। আমার গ্রুপের গ্রুপ অ্যাডমিনকে বলছি সুমনবাবুকে আমার গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দিতে।"

এই বিষয়ে সুমনবাবু বলেন, “আমি দলে যোগদানের পর থেকে দলের কার্যকলাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। যখন সাংবাদিক ছিলাম তখন অনেক গ্রুপেই ছিলাম। ব্যস্ততার মধ্যে এত মনে থাকে না। আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের তথ্য চুরির অভিযোগ ভিত্তিহীন। "

ABOUT THE AUTHOR

...view details