পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

"প্রয়োজন ছাড়া ব্যাঙ্কে আসবেন না", আবেদন ব্যাঙ্ক অফিসার এবং কর্মচারী সংগঠনের

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, "রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কোরোনা ভাইরাস প্রসারের কেন্দ্রস্থল হতে চলেছে। অবিলম্বে কতৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, ব্যাঙ্কগুলি থেকে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।"

Bank
Bank

By

Published : Jul 11, 2020, 7:33 AM IST

কলকাতা,10 জুলাই : অনলাইনে,ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাজ বাড়িতে বসে করার আবেদন করেছেন ব্যাঙ্ক অফিসার এবং কর্মচারীদের সংগঠন। সমস্ত শাখায় এমনকী কন্টেইনমেন্ট জ়োনেও এখনও স্বাভাবিকভাবে পরিষেবা দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক । ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্কের অনেক কর্মচারী কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। যে সমস্ত শাখায় ইতিমধ্যে রেকর্ডসংখ্যক কর্মচারী সংক্রমিত হয়েছেন সেই সমস্ত শাখাগুলি আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় দেখা যাচ্ছে কর্মচারীরা কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার পর গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। বালি বাজারের একটি শাখার এক অফিসার কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর, তার সমগ্র পরিবার সংক্রমিত হয়েছে।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, "রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কোরোনা ভাইরাস প্রসারের কেন্দ্রস্থল হতে চলেছে। অবিলম্বে কতৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, ব্যাঙ্কগুলি থেকে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভেঙে পড়তে পারে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ।“ সঞ্জয় দাস গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। নতুন করে লকডাউনের জন্য এখনও পর্যন্ত গ্রাহক পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে লকডাউনের গোড়ার থেকেই গ্রাহকদের স্বার্থে বিঘ্নহীন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের ব্যাঙ্কগুলি। তবে,ইদানিংকালে ব্যাঙ্কে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ কর্মী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে নিয়মিত গ্রাহক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। গত দুদিন আগে সপরিবারে একজন ব্যাংক অফিসার কোরোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই কারণে আমরা আবেদন জানাচ্ছি, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যাঙ্কে কেউ ঢুকবেন না। ”

তিনি আরও বলেন, "ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখা থেকে কৃষকদের খরিফ মরশুমের শস্য ঋণ দিতে হচ্ছে এখন। রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের উদ্যোগের জন্য ঋণ দেওয়ার কাজ চলছে ব্যাঙ্কগুলি থেকেই। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি থেকে। ব্যাঙ্কগুলিকে যথাযথভাবে জীবাণুনাশকের কাজ হচ্ছে না। শারীরিক পরীক্ষাও করা হচ্ছেনা কর্মচারীদের। অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ গ্রাহক মাস্ক ছাড়াই ব্যাঙ্কে প্রবেশ করছেন। ফলে কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা।"

অফিসার্স কনফেডারেশন ব্যাঙ্ক থেকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে । রাজ্য সরকার অবিলম্বে নিয়ম করে ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নজর দিক, চাইছেন রাজ্যের ব্যাঙ্ক অফিসার সংগঠনের নেতৃত্ব।

ABOUT THE AUTHOR

...view details