কলকাতা, 25 জুন: জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ব্রাঞ্চে 120 জনকে নিয়োগ করার জন্য 2053 জনকে কেন ইন্টারভিউতে ডাকা হল? এই প্রশ্ন তুলে আজ পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের(PSC) সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র চাকরিপ্রার্থীরা । আজ বেলা 12টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । তাঁদের দাবি, চলতি বছর 17 জুন জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ব্রাঞ্চে নিয়োগের জন্য প্রকাশিত সুপারিশ তালিকা বাতিল করতে হবে । লিখিত পরীক্ষায় সফল 2053 জনের উপর ভিত্তি করে 3:1 রেশিও মেনে নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে । ইতিমধ্যেই তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে PSC-র চেয়ারপার্সনের কাছে গেছেন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা ।
জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রদের দাবি নিয়ে PSC দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, " PSC-র বিভিন্ন পরীক্ষায় অনিয়ম চলছে। WBCS থেকে PSC যে শেষ পরীক্ষা নিয়েছিল সব ক্ষেত্রেই চিত্রটা এক । PSC পূর্ত দপ্তরে ইঞ্জিনিয়র নিয়োগের জন্য নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছিল 2017 সালে। 2018 সালে পরীক্ষা হয় । লিখিত পরীক্ষার পরে ইন্টারভিউ হয় । ইন্টারভিউ চলেছে 2018 সালের ডিসেম্বর মাস থেকে 2019 সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। ইন্টারভিউয়ের পরে 17 জুন একটি তালিকা প্রকাশ করে PSC । লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পরে PSC, 2053 জনের একটা তালিকা প্রকাশ করে । তাদের সবার ইন্টারভিউও নেওয়া হয় । তারপরে দেখা যাচ্ছে নিয়োগ করা হয়েছে 120 জনকে ।"
তিনি আরও বলেন, "এর আগে 3:1 অনুপাতে ডাকা হত ও ইন্টারভিউ নেওয়া হত । এখনও 2053 জনকে ইন্টারভিউ ডাকা হয়েছে । সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী লিস্ট প্রকাশ করলেও 700 থেকে 650 জনের চাকরি পাওয়ার কথা। সেখানে মাত্র 120 জন চাকরি পেয়েছেন। 120 জনকে চাকরি দিতে হলে 360 জনকে ডাকতে হত । তাহলে 2053 জনকে কেন ডাকা হয়েছিল? আসলে যে কারণে 2053 জনকে ডাকা হয়েছিল তা হল, ভ্যাকেন্সি ছিল । রাজ্য সরকারের সেই ভ্যাকেন্সি কোথায় গেল? কাটমানি হয়ে গেল কিনা তা বলতে পারছি না । বিষয়টা আমাদের কাছে স্পষ্ট। যে ভ্যাকেন্সি ঘোষণা করা হয়েছিল, পরীক্ষা হয়েছিল, ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেই অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে । টোটাল প্যানেলটা PDF-এ প্রকাশ করতে হবে, উত্তর কী প্রকাশ করতে হবে ।" তাঁর বক্তব্য, "PSC দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করা ছেলেরা আছে । একটাই দাবি, নির্দিষ্ট ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ করার জন্য আমাদের লড়াই চলবে । যদি আমরা সদুত্তর না পাই তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে । শুধু রাস্তায় নয় দরকার হলে আদালতেও যাওয়া হবে । বেকার ছেলেদের কোনওভাবে বঞ্চিত করা যাবে না ।"