আমেদাবাদ, 17 মে : কোনও প্রাণহানি যেন না হয়... সেটিকেই সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছে গুজরাত প্রশাসন ৷ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা জওয়ানদের ৷ সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা ৷ রাজ্য প্রশাসনকে সাহায্য করতে আমেদাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সকে পাঠানো হচ্ছে সৌরাষ্ট্রে ৷
দমন ও দিউ এবং পোরবন্দর এলাকায় উদ্ধারকাজ সাহায্য করার জন্য 12 টি দলকে পাঠানো হয়েছে জামনগরে ৷
মৌসম ভবনের তরফে 18 থেকে 20 মে পর্যন্ত কচ্ছে প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে । কচ্ছ প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে । মান্ডভি সৈকতও পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর 2 টি দল এবং এসডিআরএফের 1 টি দল কচ্ছে মোতায়েন করা হয়েছে । উপকূলবর্তী এলাকার 92 টি গ্রাম থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৷ গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কোস্টাল গার্ডের তরফে গুজরাতের মৎসজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এই সময় সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য ৷ যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত ফেরত আসার জন্য বলা হয়েছে ৷
ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও গুজরাতের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর 54 টি দলকে উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছে ৷ প্রায় দেড় লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ কাল সকাল থেকে 155 থেকে 165 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে তাণ্ডব চালাবে তখতে ৷ 185 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হয়ে যেতে পারে কখনও কখনও ৷
প্রশাসনের তরফে হাসপাতালগুলিও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ করোনা রোগীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় এবং অক্সিজেন পরিষেবা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে ৷