নয়াদিল্লি, 28 মে: ঐতিহাসিক দিন । দরজা খুলেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের নয়া পীঠস্থানের । রাজধানীতে আজ অকালবোধনেরই আনন্দ । অকালবোধন ? প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা তো তাই বলছেন । দাবি করছেন, ইতিহাসে উঠল ভারতের নাম । নয়া কীর্তিতে যখন আনন্দে উদ্বেল লুটিয়েন্স দিল্লির আকাশ, অনতিদূরেই তখন মুখ পুড়ল ভারতের । যাদের হাত ধরে তেরঙা উড়েছিল বিশ্বমঞ্চে, তাদেরই মাটিতে পিষছে রাষ্ট্রযন্ত্র । একইদিনে দুই চিত্র কি দুই ভারতের প্রতীক ? নাকি 'হাজার ওয়াটের' পাদপ্রদীপের আলোতেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, অন্ধকার এখনও ঘোচেনি ।
পুরনো সংসদ ভবনের সামনেই সেজে উঠেছে সেন্ট্রাল ভিস্তা । আগামীতে ইতিহাসের সাক্ষীই শুধু নয়, ইতিহাসের জন্মদাতাও হবে ইট-কাঠ-পাথরের বিল্ডিং । যার পরতে পরতে জড়িয়ে যাবে ইতিহাস ৷ নির্জীব ভবনের প্রত্যেকটি অংশ গল্প বলবে দেশ গড়ার, দেশ বদলের ৷ ভবিষ্যতের ভাবনায় এদিন মত্ত ছিল দেশ । আর এই ভবিষ্যতের ইতিহাস রচনার আকাঙ্খায় দেশ ভুলল তার অতীত, তার কৃতি সন্তানদের । রাস্তায় পড়ে রইলেন ভীনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা । রাস্তায় পড়ে রইলেন তাঁরা, যাদের সম্মান দিয়েছে খোদ রাষ্ট্র । ঐতিহাসিক দিনেই রাস্তায় মিশল দেশের ঐতিহ্য ।
সেন্ট্রাল ভিস্তা, গণতন্ত্রের পীঠস্থান । সাংসদ, আমলাদের জন্য নির্মীত হলেও যা প্রবলভাবে আম-আদমির । দেশের সাধারণের কথাই আলোচিত হবে নয়া স্থাপত্যে । তর্ক হবে দেশের গরিমা নিয়ে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসবে দেশ, কষা হবে তার ব্লু-প্রিন্ট । ঠিক সেখানেই যেতে চেয়েছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা ।