নয়াদিল্লি, 20 মার্চ:ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের প্রমাণ না-মেলা পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা চিকিৎসায় অ্য়ান্টিবায়োটিক ব্য়বহার করা যাবে না (Use of Antibiotics in Covid Cases) ৷ এই মর্মে রবিবার একটি নতুন ও সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
গত কয়েক দিন ধরে দেশে আবারও একটু একটু করে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৷ তার জেরেই এই সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, ভারতে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেই লোপিন্যাভির-রিটোন্যাভির, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেকটিন, মলনুপিরাভির, ফ্যাভিপিরাভির, অ্য়াজিথ্রোমিসিন এবং ডক্সিসাইক্লাইনের মতো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না ৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 5 জানুয়ারি কোভিড চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেই বৈঠকে এইমস ও আইসিএমআরের কোভিড বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন ৷ দেশে করোনার চিকিৎসায় এতদিন যে গাইডলাইন মেনে চলা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্যই মূলত এই বৈঠক করা হয় ৷ সেই বৈঠকে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ৷ বৈঠকের পর করোনার চিকিৎসায় চিকিৎসকদের কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিও ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
সংশোধিত গাইডলাইনের একাংশে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না ৷ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের আরও কোনও স্থানীয় সংক্রমণ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে ৷ তবে, কোনও রোগীর অবস্থা যদি গুরুতর হয় তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে সর্বাধিক পাঁচদিনের জন্য রেমডেসিভির ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ এক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ প্রকাশ্যে আসার 10 দিনের মধ্যেই ওষুধ চালু করতে হবে ৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবস্থা যদি অত্যন্ত গুরুতর হয় এবং তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট থাকে, একমাত্র তবেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ৷ তবে, পাঁচদিনের বেশি কোনও মতেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না ৷ যে রোগীরা অক্সিজেন সাপোর্টে নেই, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে না ৷ এর পাশাপাশি, কোনও রোগীর উপসর্গ যদি মধ্যম থেকে ক্রমশ প্রবল হতে শুরু করে, কিংবা রোগীকে যদি আইসিইউ-তে ভরতি করতে হয়, তাহলে উপসর্গ প্রকাশ্যে আসার 24 থেকে 48 ঘণ্টার মধ্য়ে টোসিলিজুমাব ব্যবহার করা যেতে পারে ৷
আরও পড়ুন:126 দিন পর দেশে করোনায় আক্রান্ত 843, মৃত 4
প্রসঙ্গত, রবিবার দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন 1 হাজারেরও বেশি মানুষ ৷ 129 দিন পর করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া 1 হাজার পার করল ৷ সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন 918 জন ৷ দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে 6 হাজার 350 ৷