কলকাতা, 7 জুলাই: এই মুহূ্র্তে কলকাতায় রয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি ৷ এই সফরে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি ৷ যেখানে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং দুই দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে ৷ বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়ে একটি টুইট করেছেন গারসেট্টি ৷ পাশাপাশি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি ৷ অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে রাজ্যে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয় ৷
রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এরিক গারসেট্টি লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত ৷ ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অগ্রাধিকার পাওয়া বিষয়গুলি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ৷ যেখানে উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুই দেশের মানুষের মধ্যে থাকা গভীর সাংস্কৃতিক বন্ধনগুলি নিয়ে কথা হয় আমাদের ৷’’ সবশেষে রাজভবনে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৷
রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা অর্থ দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গেও বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি ৷ সেখানে দু’জনের মধ্যে রাজ্যে নারী ক্ষমতায়ন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা, আবহাওয়া পরিবর্তনে গৃহিত ব্যবস্থা-সহ একধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় ৷ মূলত ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যে চুক্তিগুলি রয়েছে ৷ সেই ক্ষেত্রগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক বলে জানিয়েছেন গারসেট্টি ৷
আরও পড়ুন:হিংসা-দীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সাহায্যে প্রস্তুত, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে রুষ্ট কংগ্রেস
পরে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্সের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং দুই দেশই একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে ৷ সেটা প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রেও হতে পারে ৷’’ পাশাপাশি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি ৷ মূলত, শিক্ষাক্ষেত্রে দুই রাষ্ট্রের পড়ুয়ারা যত বেশি নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের আদান-প্রদান করবে, তত বেশি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন পোক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৷