নয়াদিল্লি, 7 অগস্ট: লোকসভায় রাহুল গান্ধির প্রত্যাবর্তনে যখন উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস, তখন পালটা হাত শিবিরের সঙ্গে চিনের সংযোগ নিয়ে সোচ্চার হল বিজেপি ৷ এই ইস্যুতে সোমবার সংসদেও বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করে বিজেপি ৷ যার জেরে মুলতুবিও হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশনও ৷
এদিন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে দেশকে 'বিভক্ত' করা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশবিরোধীদের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলেন ৷ যার জেরে এদিন দুপুর দু'টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, 'চিনা প্রোপাগান্ডা' নিয়ে কাজ করছে কংগ্রেস ৷ যা নিয়ে প্রথমসারির মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে, প্রতিবেদনে এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের নামও উল্লেখ করা রয়েছে, যা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত করছে ৷
সংসদে দাঁড়িয়ে নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেন, যে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' এবং কিছু মিডিয়ার নাম করা হয়েছে, যা ভারতবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য বহিরাগত শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেসকে অর্থ দিচ্ছে চিন। দুবের মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেস নেতারা 2016 সালে চিনের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিনের সঙ্গে কংগ্রেসের এই গোপন যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরে নিশিকান্ত দুবে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও তদন্ত চেয়েছেন। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, যে ডোকলাম অচলাবস্থার সময় রাহুল গান্ধি তৎকালীন চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আর তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ কক্ষ ৷ বিরোধী সদস্যরা বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের প্রতিবাদে হট্টগোল শুরু করলে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ ৷